আজ-তক এর বিরুদ্ধে গুরু রামপালের সমর্থকদের প্রতিবাদের পুরনো ভিডিও ফের ভাইরাল
পোস্টের দাবি—দুর্নীতিগ্রস্ত মিডিয়ার বিরুদ্ধে জমায়েত এ ধরনের প্রথম বিশাল সমাবেশে আজ-তক-এর ভুয়ো খবরের প্রতিবাদ জানানো হল।
২০১৮ সালে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত স্বঘোষিত গুরু রামপালকে নিয়ে হিন্দি সংবাদ চ্যানেল আজ-তক-এর রিপোর্টের প্রতিবাদে আয়োজিত জমায়েতের পুরনো ভিডিও একটি ভুয়ো বিবরণী সহ জিইয়ে তোলা হয়েছে ।
যখন পুলওয়ামার জঙ্গি হামলা ও তার জেরে ভারত-পাক উত্তেজনার রিপোর্ট প্রকাশে উগ্র জাতীয়তাবাদী প্রবণতার জন্য ভারতীয় মিডিয়া সমালোচিত হচ্ছে, তখনই দু বছর আগের এই ভিডিওটি জিইয়ে তোলা হল ।
ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের ভারতীয় মিডিয়াকে কড়া নিন্দা করে দেওয়া একটি সম্পাদিত বিবৃতি পাক কর্তৃপক্ষ ১ মার্চ তাঁর মুক্তির ঠিক আগে প্রচার করে । এই প্রেক্ষিতেই রামপালের সমর্থকদের ভিডিওটির পুনরুজ্জীবন ।
ভিডিওটির ক্যাপশন—“হুঁশিয়ার দালাল মিডিয়া! খুব ভাল । এই প্রথম ভ্রষ্টাচারী মিডিয়ার বিরুদ্ধে বিশাল গণ-প্রতিবাদ । আজ-তক সংবাদ চ্যানেলের ভুয়ো খবরের প্রতিবাদে লোকে রাস্তায় নেমে এসেছে ।”
এই পোস্টগুলির আর্কাইভ সংস্করণ এখানে । এবং এখানে দেখা যেতে পারে।
আরও অনেক ফেসবুক পেজ থেকেই ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছেঃ
টুইটারও পোস্টটি ফরোয়ার্ড করে যাচ্ছেঃ
তথ্য যাচাই
ভিডিওটি দেখলেই বোঝা যায়, পোস্টের দাবি আর ভিডিও-র ছবির মধ্যে কোনও সঙ্গতি নেই । কয়েক মিনিট ভিডিওটি চলার পরেই (১.৫৬) ক্যামেরা একটি পোস্টারের উপর স্থির হয়, যাতে লেখা—“নির্দোষ সন্তকে বদনাম করা বন্ধ করো (निर्दोष संत को बदनाम करना बंद करो) ।” তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিড়ের মধ্য থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়—“আমরা সন্ত রামপালের সমর্থক ।”
স্বঘোষিত সন্ত গুরু রামপালকে নিয়ে লেখা রিপোর্টের অনেকগুলি সংযোগ বুম খুঁজে পায়। ২০১৪ সালে হরিয়ানার হিসার থেকে খুনের দায়ে এঁকে গ্রেফতার করা হয় । তাঁর সমর্থকরা তাঁর গ্রেফতারি ঠেকানোর চেষ্টা করলে হিংসাত্মক সংঘর্ষ বেধে যায়, যাতে পাঁচজন মহিলা ও একটি শিশুর মৃত্যু ঘটে ।
২০১৮ সালের অক্টোবরে দুটি আলাদা খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন । ভিডিওতে রামপালের সমর্থকরা দাবি করছেন যে আজ-তক তাঁদের গুরুদেব সম্পর্কে ভুয়ো খবর প্রচার করছে । তারা তাঁদের গুরুর ভাবমূর্তি কলংকিত করছে, তাদের এ জন্য ক্ষমা চাইতে হবে । প্রতিবাদ-বিক্ষোভটি ঘটেছিল নয়ডায় । তার আগে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর ভিডিওটি ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছিল ।
ওই একই দিনে ইউ-টিউবেও ভিডিওটি আপলোড হয় ।