বাংলাদেশে ছাত্রমৃত্যুর সিসিটিভি ফুটেজ বলে পুরনো গণপিটুনির ভিডিও শেয়ার
ইউটিউবে ভিডিওটি ২০১৪ সাল থেকে রয়েছে। বাংলাদেশে গণপিটুনিতে মৃত ছাত্র আবরার ফারহাদ হত্যকান্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বা বুয়েট-এর ছাত্র আবরার ফারাহাদের গণপিটুনিতে মৃত্যুর সিসিটিভি ফুটেজ হিসেবে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পুরনো। এই গণপিটুনির ভিডিওটি অনলাইনে ২০১৪ সাল থেকে রয়েছে।
বুয়েটের ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফারহাদকে জামাতি ইসলামির ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরে কথিত যুক্ত থাকার অভিযোগে পিটিয়ে মারার আভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শাসকদলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ছাত্রদের বিরুদ্ধে। এই নৃশংস ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এপর্যন্ত ৯ জন ধৃত। বিস্তারিত পড়ুন ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে।
ভাইরাল হওয়া ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চারজন ব্যক্তি তার হাত ও পা চ্যাংদোলা করে ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর দুজন ব্যক্তি লাঠি দিয়ে পিঠ ও কোমরে আঘাত করে যাচ্ছে।
পোস্টটিতে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ‘‘আবরার ফরহাদকে খুনিরা যে ভাবে খুন করলো’’

ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলি আর্কাইভ করা আছে এখানে ও এখানে। গণপিটুনির ভিডিওটি হিংসাত্মক হওয়ায় বুম ভিডিওটিকে এখানে যোগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তথ্য যাচাই
বুম ভিডিওটিকে কি ফ্রেমে ভেঙে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে জেনেছে এটি বুয়েটে গণপিটুনিতে মৃত ছাত্র আবরার ফারাহাদকে মারার সিসিটিভি ফুটেজ নয়। ২০১৪ সাল থেকে অনলাইনে রয়েছে ভিডিওটি। কখনও পাকিস্তানের ঘটনা হিসেবও বলা হয়েছে। ভিডিওটি এখানে ও এখানে দেখা যাবে।
ঝাড়খন্ডের বোকরোতে ২০১৪ সালে গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে করা রিপোর্টে এই ভিডিওটি ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ২৮ মার্চ আপলোড করা হয়েছিল ভিডিওটি।
বুমের তরফে বোকারো পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এই গণপিটুনির অংশটি সেখানের ঘটনা কিনা এব্যাপারে তারা সুনিশ্চিত নন।
তবে বুম এব্যাপারে নিশ্চিত যে, সিসিটিভি ফুটেজটি বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুয়েটে গণপিটুনিতে মৃত ছাত্র আবরার ফারহাদ হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।