কানহাইয়া কুমার ও তার বন্ধুর ভাইরাল ছবি নিয়ে ফের মিথ্যে দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায়
কানহাইয়া কুমারের এই ছবিটি বছর দুই আগেও একবার ভাইরাল হয়েছিল। কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এনিয়ে ভুয়ো রটনা পোস্ট করে।
প্রাক্তন জেএনইউ ছাত্রসংসদ সভাপতি কানহাইয়া এবার পা ফেলেছেন সংসদীয় রাজনীতির আঙিনায়। বিহারের বেগুসরায় কেন্দ্রের সিপিআই মনোনিত প্রার্থী তিনি। পিছিয়ে বাংলা নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে কানহাইয়া কুমারের একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
ছবিটিতে সোফায় বসা কানহাইয়া কুমারের কাঁধে হাত রাখা অবস্থায় এক মহিলাকে দেখা গেছে। পোস্টটিতে একটি কুরুচিকর ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে। নিজের ইউনিভার্সিটির (জেএনইউ)এক প্রফেসারের সাথে ভোট প্রচারে ব্যস্ত বেগুসরাই এর সিপিএম প্রার্থী কানহাইয়া কুমার। এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত পোস্টটিতে ২২৭ টি লাইক হয়েছে ও ৯৫ জন শেয়ার করেছেন। পোস্টটি এখানে আর্কাইভ করা আছে।
তথ্য যাচাই
কানহাইয়া কুমারের এই ছবিটি বছর দুই আগেও একবার ভাইরাল হয়েছিল। কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এনিয়ে ভুয়ো রটনা পোস্ট করে। এমনকি একটি সংবাদমাধ্যমও অসত্য তথ্য প্রকাশ করে। ভারতীয় গণমাধ্যমের উপর নজরদারী চালায় এরকম একটি স্বাধীন মিডিয়া সংস্থা নিউজলন্ড্রি ডট কম ২০১৬ সালে এনিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কানহাইয়া সমস্ত জল্পনা নস্যাৎ করে জানান। ওই মহিলা জেএনইউ-এর ছার্ত্রী এবং তার বন্ধু। সাক্ষাৎকারে ওই প্রসঙ্গে কথপথনের অংশটি দেখা যাবে এখানে।
সমগ্র সাক্ষাৎকারটি দেখা যাবে এখানে।
২০১৬ সালে ডেকান ক্রনিকাল-এ এই ভুয়ো বার্তা খন্ডন করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত করে। কানহাইয়ার সঙ্গের ছবিটি তার বন্ধু সৌমা মনি ত্রিপাঠির। একটি পাল্টা ফেসবুক পোস্টে সৌমা, কানহাইয়া সঙ্গে তোলা বন্ধুত্বপূর্ণ সাধারন এই ছবিটি নিয়ে অহেতুক বিতর্কের প্রতিবাদও জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছাত্র রাজনীতি ও গনমাধ্যমে কানহাইয়া কুমার একটি বিতর্কিত নাম। ২০১৬ সালে তার নামে কথিত পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দেশদ্রহীতার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে যেতে হয় তাকে। দিল্লী হাই কোর্টের বিচারপতি স্লোগান দেওয়ার ওই ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। এনিয়ে মামলাটি এখনও আদালতের বিচারাধীন।