এগুলো কি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের বাড়ি? একটি তথ্য যাচাই
বুম দেখে চারটির মধ্যে তিনটি ছবি হল দ্য ললিত গ্র্যান্ড প্যালেসের।
মিথ্যে দাবিসহ বেশ কয়েকটি বাড়ির ছবি শেয়ার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সেগুলি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ, ফারুখ আবদুল্লাহ, মেহবুবা মুফতি ও রাজনৈতিক নেতা গুলাম নবি আজাদের বাড়ি।
একটি টুইটে বলা হয়েছে, “গুলাম নবি আজাদ, ওমর আবদুল্লাহ, ফারুখ আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতির বাংলোগুলো দেখুন। এগুলি সরকারি বাড়ি এবং সরকারই এগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করে জনগণের টাকায়। আপনারা এখনই জানতে পারবেন, কেন ওই ব্যক্তিরা ৩৭০ ও ৩৫এ ধারার বিলুপ্তির বিরোধিতা করছেন।”
ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে ছবিগুলি
তথ্য যাচাই
গুগুলের সাহায্যে আমরা ছবিগুলির রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। দেখা যায়, চারটি ছবির মধ্যে তিনটি হল জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে দ্য ললিত গ্র্যান্ড প্যালেসের ছবি।
প্রথম ছবি
প্রথম ছবিটিতে হলুদ জ্যাকেট-পরা একটি মেয়েকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবিটি ২৫ জানুয়ারি ২০০৯ সালে পর্যটন ওয়েবসাইট ‘ট্রিপঅ্যাডভাইসার’এ পোস্ট করা হয়। হোটেল দ্য ললিত গ্র্যান্ড প্যালেসের ছবি সেটি।
দ্বিতীয় ছবি
দ্বিতীয় ছবিতে অবশ্য ওমর আবদুল্লাহ তাঁর বাসভবনের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায় যে, ২০১৪ সালে একটি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছিল সেটি।
যে রিপোর্টের সঙ্গে ছবিটি ব্যবহার করা হয় আমরা একই ধরনের আরও একটি ছবি পাই। ছবিটি ‘ইন্ডিয়ান একসপ্রেস’-এ প্রকাশ করা হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। ছবিটির ক্যাপশন লেখা হয়েছিল, “তাঁর গুপকার বাসভবনে মিডিয়ার দিকে হেঁটে যাচ্ছেন ওমর আবদুল্লাহ।”
তৃতীয় ছবি
তিন নম্বর ছবিটিও দ্য ললিত গ্র্যান্ড প্যালেসের। সেটিও ভ্রমণ বুকিং ওয়েবসাইট ট্রিপঅ্যাডভাইজারে পোস্ট করা হয়েছিল।
২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিওতেও ওই একই ঘাসের লন দেখা যায়। ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়: “দ্য ললিত গ্র্যান্ড প্যালেস শ্রীনগর।”
চতুর্থ ছবি
চতুর্থ ছবিটিও দ্য ললিত গ্র্যান্ড প্যালেসের। সেটিও ট্রিপঅ্যাডভাইজারে পোস্ট করা হয়।
“দ্য ললিত গ্র্যান্ড প্যালেস” ক্যাপশন সমেত যে ভিডিওটি ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল, তার ০.৩৪ সেকেন্ড সময়ে, ওই একই জায়গাটি দেখতে পাওয়া যায়।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল্লাহ এবং মুফতি দু’জনকেই ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর আটক করা হয়েছে।