ঝাড়খন্ডে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার ছবি ছেলেধরা বলে শেয়ার করা হচ্ছে
ঝাড়খন্ড পুলিশ বুমকে জানিয়েছে ওই মহিলা মনোরোগাক্রান্ত। উনি আদেও ছেলেধরা নন।
পর পর সাজানো পাঁচটি ছবিতে একজন মহিলাকে একটি পুলিশ স্টেশনে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সেগুলি ফেসবুকে শেয়ার করা হচ্ছে এই মিথ্যে দাবি করে যে, উনি একজন ছেলেধরা, যাঁকে ঝাড়খন্ডের বোকারোয় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ছবিগুলি আপলোড করেন। সঙ্গে দেওয়া হিন্দিতে লেখা ক্যাপশনের তর্জমা করলে দাঁড়ায়: “আজ আমাদের চাস বোকারো মেন রোডে এক ছেলেধরা পাকড়াও হয়েছে। যদি আপনি এই রকম কোনও মহিলাকে দেখেন তাহলে সাবধান হবেন।” পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক বিভ্রান্ত মহিলা পুলিশ স্টেশনের বাইরে বসে আছেন। তাঁর পেছনে একটা বোর্ডের কিছুটা অংশ চোখে পড়ছে। তাতে লেখা ‘পিকপকেটিয়ার’ বা পকেটমার।
তথ্য যাচাই
বুম বোকারো পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁরা বলেন, ওই মহিলা মোটেই ছেলেধরা নন। চাস জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার বহমান তুতি বলেন যে, মহিলা মানসিকভাবে অসুস্থ।
তুতি আরও বলেন, “স্থানীয় মানুষরা তাঁকে এক অপরিচিত ব্যক্তির বাড়ির সামনে দেখতে পায়। তিনি কে এবং কেনই বা সেখানে তিনি বসে আছেন, সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি মহিলা। তাই তাঁকে পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসে স্থানীয়রা।” উনি জানান যে, মহিলাকে কেউ মারধর করেনি, উত্যক্তও করেনি কেউ। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁর পরিবারের সন্ধান পেয়েছে। তাঁদের আসার অপেক্ষায় আছে। “পুলিশের হাতে মহিলাকে তুলে দেওয়ার পরই ছবিগুলি তোলা হয়,” বলেন তুতি।
উনি আরও বলেন, “ঝাড়খন্ডে ছেলেধরা আটক হয়েছে বলে যে সব মেসেজ ছড়ানো হচ্ছে তার বেশিরভাগই বাজে। মিথ্যে মেসেজ ছড়ানো ঠিক নয়।”
সোশাল মিডিয়ায় ছেলেধরা সংক্রান্ত এই রকম একাধিক গুজব বুম খন্ডন করেছে। অতীতে ওই ধরনের রটনার ফলে, অনেককে নির্মমভাবে মারধোর করা হয়েছে। আবার গনপিটুনির ফলে সারা দেশজুড়ে মারাও গেছে অনেকে।