না, এই ছবিগুলি তিরুপতি বালাজি মন্দিরের পুরোহিতের কন্যাদের বিয়ের ছবি নয়
বুম যাচাই করে দেখেছে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলি তিরুপতির বালাজি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত এবং তার তিন মেয়ের বিয়ের ছবি নয়।
ফেসবুকে চারটি ছবি একসঙ্গে শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে যে, সেগুলি তিরুপতি বালাজি মন্দিরের পুরোহিতের ছবি এবং কন্যাদের বিয়ের দৃশ্য। ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি সোনার গয়না পরে রয়েছেন গলা ভর্তি। তার হাতেও রয়েছে আঙুল ভর্তি সোনার আংটি। ওই ব্যক্তির তিনটি ছবি রয়েছে। আর একটি ছবিতে সম্ভবত বিয়ের সাজে বসে রয়েছেন তিনজন মহিলা। তাদের গায়েও রয়েছে অলঙ্কারের প্রাচুর্য।
ছবিটিতে লেখা রয়েছে, ''মন্দিরের বাৎসরিক আয় ২২৬২ টাকা। এখানে যে ফটো দেখছেন সেটা তিরুপতি বালজী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আর তার তিন মেয়ের বিয়ের ফটো। তিন জনের শরীরে যে সোনা রয়েছে তার ওজন ১২৫ কেজি।
মন্দিরের সোনার মালিক কে??? ভগবান নাকি ব্রাহ্মন পুরোহিতরা!!!''
ফেসবুক পোস্টগুলি দেখা যাবে এখানে ও এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখেছে ছবিগুলি তিরুপতি বালাজি মন্দিরের পুরোহিত এবং তার কন্যাদের বিয়ের ছবি নয়।
সোনার গহনা পরা ব্যক্তিটি হলেন আমজাদ সাইদ ওরফে গোল্ড ম্যান ওরফে কাকা ২২২। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির জুয়েলারি মহলের মালিক তিনি। আমজাদ সাইদের ফেসবুক প্রোফাইলে ওই জমকালো সোনার গহনা পরা ছবি দেখা যাবে তার। ছবিগুলি দেখলেই বোঝা যায় তার সোনা প্রীতি রয়েছে।
নীচে দেখুন আমজাদ সাইদকে নিয়ে গণমাধ্যেমে প্রকাশিত খবর।
বিয়ের সাজে থাকা ওই মেয়ে তিনটির ছবি ২০১৬ সাল থেকে অনলাইন রয়েছে। বাজফিডের প্রতিবেদন, ধনতেরাস মিম, ও ইমগুরে ছবিটি দেখা যাবে।
২০১৬ সালের ১ এপ্রিলও ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছিল।
বুমের পক্ষে ছবিটির মূর উৎস যাচাই করা সম্ভব না হলেও এব্যাপারে নিশ্চিত যে ছবিটি তিরুপতি বালাজি মন্দিরের পুরোহিতের মেয়েদের ছবি নয় কারণ বুম খুঁজে পেয়েছে তিরুপতির লর্ড শ্রী কোদানদা রামাস্বামী মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের গয়না চুরির সংবাদ প্রকাশিত হয়েছেল ২০০৯ সালের অগস্ট মাসে।
ওই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কাট্টু ভেঙ্কাটারামনা দিকশিটুলু চুরির ঘটনা স্বীকার করেন যখন তিরুপতির তিরুমালা দেবস্থানমের কর্তৃপক্ষ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের গহনার হদিস মেলেনি সেসময়। তার তিন মেয়ে আছে আর দরিদ্রতার কারনে তিনি দু বছর আগে ওই গহনা সরিয়ে বন্ধক দেন। ধার শোধ করে পরে ওই নেকলেস ফিরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার, একথাও জানান তিনি। মন্দির কর্তৃপক্ষ ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তাকে বরখাস্ত করে ও মামলা রুজু করে। বিস্তারিত পড়া যাবে এখানে।