সাম্প্রদায়িক ভাবাবেগে ভুয়ো দাবি সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় বারংবার ফিরছে গোরক্ষপুর মাদ্রাসার এই ছবিটি
৯ এপ্রিল ২০১৮ ছবিটি সংবাদ সংস্থা এএনআই টুইট করেছিল। উত্তরপ্রদেশের দারুল উলুম হুসানিয়া মাদ্রাসার ছবি এটি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বারংবার ফিরে আসা একটি ছবি বুম বাংলার নজরে এসেছে। ছবিটিতে একজন মাদ্রাসা শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে পড়াচ্ছেন। চারজন ছাত্রীকে দেখা যাচ্ছে ওই ছবিটিতে।
পোস্টিতে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার মত বিষয় থাকায় ছবিটিকে ব্লার করা হল। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে। পোস্টটি ১৬০ জন লাইক করেছেন ও ১৫ জন শেয়ার করেছেন।
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটির উৎস যাচাই করেছে। ৯ এপ্রিল ২০১৮ সংবাদ সংস্থা এএনআই টুইট করেছিল ছবিটি।
উত্তরপ্রদেশের দারুল উলুম হুসানিয়া মাদ্রাসার ছবি এটি। টুইটটিতে লেখা হয়েছিল, ‘‘গোরক্ষপুর: অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে সংস্কৃত পড়ানো হয় দারুল উলুম হুসানিয়া মাদ্রাসায়। মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বলেন, ইউপি বোর্ডের অধীন এটি একটি আধুনিক মাদ্রাসা। ইংরেজি, হিন্দি, বিজ্ঞান, অঙ্ক ও সংস্কৃত পড়ানো হয় এখানে। আরবিও পড়ানো হয়।’’
এই বিষয়ে ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদন পড়া যাবে এখানে।
পাকিস্তানি বংশদ্ভূত কানাডিয় সমালোচক তারেক ফাতাহ এই ছবিটিকে বিকৃত করে ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ টুইট করেছিলেন ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর। পরে তিনি টুইটটি ডিলিট করে দেন। টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
এই ছবিটি ঘিরে অন্যান্য গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলি পড়া যাবে এখানে ও এখানে।