ভাইরাল হওয়া এই ছবিটি কী মহীশূর রাজবাড়ির দুর্লভ ‘শঙ্খ পুষ্প’?
এটি একটি সামুদ্রিক শাঁখ। মূল ছবিটি তোলেন জাপানের শাঁখ সংগ্রাহক ও সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী চং চেন।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি সামুদ্রিক শাঁখের ছবিকে মহীশূরের রাজবাড়ির ফুল বলে মিথ্যে দাবি করা হচ্ছে। ফেসবুক পোস্টে কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে সাদা রঙের একটি শাঁখের আকারের ছবি শেয়ার করা হচ্ছে। যার গা সাধারণ শাঁখের মতো মসৃণ নয়। ছবিটিতে পাপড়ির মতো অংশ রয়েছে ওই শঙ্খের আকারের গায়ে।
ওই ছবির সঙ্গে লেখা রয়েছে, ‘দুর্লভ একটি ফুল শঙ্খ পুষ্প। ৫০ বছরে একবার ফোটে মহীশূরের রাজবাড়িতে একবছর ধরে এই ফুলের গন্ধ থাকে। ভালো লাগলে শেয়ার করবেন বন্ধু।’
বুমের হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইনে (৭৭০০৯০৬১১১ ) এই ছবিটি পাঠিয়ে ওই দাবির সত্যতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে ছবিটি।
তথ্য যাচাই
‘শঙ্খ পুষ্প’ নামে ভাইরাল হওয়া ছবিটি আসলে একটি সামুদ্রিক শাঁখ হিরটুমুরেক্স টেরামচি (Hirtomurex teramachii)
বুম অনুসন্ধান করে খুঁজে পেয়েছে যে হিরটুমুরেক্স টেরামচি’র মূল ছবিটি তুলেছিলেন জাপানের সামুদ্রিক জীব বিজ্ঞানী ড. চং চেইন। তিনি জাপান এজেন্সী ফর মেরিন আর্থ সাইন্স ও টেকনোলজি, ওকোশুকার গবেষক। বুমের তরফে বিজ্ঞানী ড. চং চেইন-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, ‘শঙ্খ পুষ্প’ নামে ভাইরাল হওয়া ছবিটি তারই তোলা।
হিরটুমুরেক্স টেরামচি’র এই ছবিটি তিনি ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল ফেসবুকে পোস্ট করেন। অফ কিলুং, উত্তর পূর্ব তাইওয়ানে তিনি ওই সামুদ্রিক শাঁখ খুঁজে পান।
২০১৩ সালে তিনি আরও একটি হিরটুমুরেক্স টেরামচি খুঁজে পান। ২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর তিনি ফেসবুক পোস্টে ওই কোরাল সম্পর্কে বিশদে লেখেন। বিংশ শতাব্দীর জাপানি শাঁখ সংগ্রাহক ও চিত্রশিল্পী আকিবুকি টেরামচির নাম অনুসারে নামাঙ্কিত করা হয় এই সামুদ্রিক প্রাণীর। জাপান, তাইওয়ান ও পূর্ব চীনের সমুদ্রে পাওয়া যায় এই কোরাল। এই প্রাণী মুরিসিডি ফ্যামিলির অন্তর্গত।
আরও অনেক শাঁখের ছবি দেখা যাবে এখানে।