জলের তলায় আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের এক কৃত্রিম ভিডিও আসল বলে শেয়ার করা হচ্ছে
বুম দেখে জলের তলায় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ কতটা ভয়ানক হতে পারে, তা বোঝাতেই ভূতত্ত্ববিদরা ওই কৃত্রিম ভিডিও তৈরি করেন।
জলের তলায় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের এক কৃত্রিম ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া আর মেসেজ পাঠানোর অ্যাপগুলিতে ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হয়েছে সেটি ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রায় একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের দৃশ্য।
বুম তার হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইনে সমুদ্রের তলায় একটি আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের ভিডিও পায়। তার সঙ্গের ক্যাপশনে বলা হয়, “৯ জুন বিস্ফোরণের সময় ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রায় অবস্থিত মাউন্ট সিনাবুঙ্গ আকাশে সাত কিলোমিটার ওপর পর্যন্ত ঘন ছাই ছড়াতে থাকে। আগ্নেয়গিরির কাছে বসবাসকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, তাঁরা যেন মুখে মাস্ক পরে থাকেন। নদীর উপরিভাগে বসবাসকারীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়, বৃষ্টির সময় ঠান্ডা লাভার স্রোত বয়ে আসতে পারে। হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। শেষ অবধি দেখুন।”
ক্যাপশনটির সাহায্যে ফেসবুক সার্চ করলে দেখা যায়, বিগত দু’দিন ধরে ভিডিওটি, একই ক্যাপশন সমেত, অনেকবার পোস্ট করা হয়।
তথ্য যাচাই
ভিডিওটির প্রধান ফ্রেমগুলি দিয়ে গুগুলে রিভার্স সার্চ করে বুম। তার ফলে, জলের তলায় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হলে কী হতে পারে, সেই সংক্রান্ত একটি কৃত্রিম ভিডিও সম্পর্কে বেশ কিছু লেখা সামনে আসে।
‘এক্সপ্রেস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবর ২০১৭’য়, একজন অস্ট্রেলিয় ভূতত্ত্ববিদ ও একজন প্রযোজক মিলে “একটি কৃত্রিম ভিডিও তৈরি করেন। তাতে দেখানো হয় নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ড উপকূলে সমুদ্রের তলায় আগ্নেগিরির বিস্ফোরণ হলে কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।”
পরে ‘অকল্যান্ড ওয়ার মেমোরিয়াল মিউজিয়াম’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেল ভিডিওটি আপলোড করে।
অতঃপর ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সিনাবুঙ্গ
ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সিনাবুঙ্গ জীবন্ত আগ্নেয়গিরিগুলির মধ্যে একটি। মাত্র দশ দিন আগে লাভা উদগীরণ হয়েছিল।
বুম লাভা উদগীরণের আসল ভিডিওটি দেখেছে, সেখানে লাভা উদগীরণ ঘটেছে সমুদ্র জল তলের উপরিভাগে, সমুদ্র জল তলের নীচে নয়।