ব্যাঙ্গালোরে বোহরা মুসলমানদের জনসভা জম্মু ও কাম্মীরের বলে চালানো হচ্ছে
একটি ভাইরাল পোস্টের দাবি, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে মুসলমানরা ভারতের সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছে। বুম জানতে পারে পুলওয়ামা আক্রমণের পর ব্যাঙ্গালোরে বোহরা সম্প্রদায়ের মুসলমানরা ওই জনসভা করেন।

পুলওয়ামা হামলার পর, নিহত সিআরপিএফ জওয়ানদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করতে ব্যাঙ্গালোরে ভোরা সম্প্রদায়ের মুসলমানরা একটি পদযাত্রা করেন। সেই অনুষ্ঠানের পুরনো ভিডিও মিথ্যে দাবি সমেত এখন শেয়ার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ওই পদযাত্রা করেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলমানরা।
ওই সমাবেশের ভিডিওতে একদল মুসলমানকে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলে ধ্বনি দিতে শোনা যায়।
ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে এমন এক সময়ে, যখন জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করে, সে রাজ্যের মানচিত্রে পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। ভিডিওটি তিন হাজারেরও বেশি বার শেয়ার করা হয়েছে। সেটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, “জম্মু ও কাশ্মীর: একটি সুন্দর দৃশ্য। ভারত মাতা কি জয়।”
দু’ মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক দল মুসলমান ‘ভারত মাতা কি জয়, সন্ত্রাসবাদ মুর্দাবাদ, বন্দে মাতরম’ ধ্বনি দিতে দিতে হেঁটে যাচ্ছে।
পোস্টটি নীচে দেখা যাবে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।

তথ্য যাচাই
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর মন্তব্য বুমের চোখে পড়ে। তিনি দাবি করেন, ভিডিওটি ব্যাঙ্গালোরের। অন্য এক ব্যবহারকারী বলেন, এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামা হামলার পর সেটি আহমেদাবাদে রেকর্ড করা হয়।
‘বোহরা মুসলিমস ইন ব্যাঙ্গালোর টুক আউট প্রোসেশন ইন মেমরি অফ মারটার্ড সিআরপিএফ জওয়ানস’ (ব্যাঙ্গালোরে ভোরা মুসলমানরা শহিদ সিআরপিএফ জওয়ানদের স্মৃতির উদ্দেশে মিছিল করে), এই প্রধান-শব্দগুলি দিয়ে আমারা সার্চ করি। দেখা যায়, ওই একই ক্লিপ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের জওয়ানদের ওপর এক মারাত্মক আত্মঘাতী বোমারু হামলা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে। তার এক সপ্তাহ পরেই ওই ভিডিও আপলোড করা হয়।

আসল ভিডিওটি নীচে আছে। তাতে এক দল ভোরা মুসলমানকে দেশের আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের সমর্থনে মিছিল করতে দেখা যাচ্ছে। ইউটিউবের বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, ব্যাঙ্গালোরের বান্নারঘাট্টা রোডে ওই সমাবেশ হয়।
ভিডিওতে ‘বুরহানি ফ্লোরা’ নামের একটি বাড়ি লক্ষ করা যায়। গুগুল ম্যাপ দেখিয়ে দেয়, সেটি ব্যাঙ্গালোরে অবস্থিত।


পুলওয়ামার সময় থেকে ভাইরাল
বুম দেখে ওই একই ভিডিও একাধিকবার পোস্ট করা হয়েছে ফেসবুক ও টুইটারে।

