কর্ণাটকের শিশুকে অমানবিক প্রহারের ভিডিও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভাইরাল
ভিডওটি কর্নাটকের কেঙ্গেরির। মহেন্দ্র কুমারের ১০ বছর বয়সী ছেলেকে প্রহারের দৃশ্য এটি।
সোস্যাল মিডিয়া হয়াটস্অ্যাপ ও ফেসবুকে একটি মোসেজ ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওয়ের সঙ্গের মেসেজটি এরকম। "এটা ডিপিএস রাজবাগ স্কুলের টিচার। যতটা সম্ভব সব হয়াট্সঅ্যাপ নম্বরে ও গ্রুপে প্লিজ দয়া করে এই ভিডিওটা শেহার করুন যাতে করে স্কুলের এই নর পিশাচ শিক্ষক যথাযথ শাস্তি পায় এবং স্কুলটা বন্ধ হয়ে যায়।"
সঙ্গে পঞ্চাশ সেকেন্ডের পাঠানো ভিডিওটিতে এক ব্যক্তিক একটি বাচ্ছা ছেলেকে খাটের ওপর তুলে অমানবিক ভাবে আছাড় মারতে দেখা যায়। পরে মেঝেই আছড়ে ফেলে বেপরেয়া লাথি মারতে দেখা যায়। ফেসবুকেও উপরে আগে লেখা একই ক্যাপশন সহ পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এরকম একটি পোস্ট এখানে আর্কাইভ করা হল। ভিডিওটি দেখুন নীচে।
সতর্কতাঃ ভিডিওটি শিহরিত হবার।
ফেসবুকে এই ভিডিওটি একটি চরম ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভাইরাল হয়।
এমনকি একাধিক ফেসবুক ইউজার ভিডিও টি শেয়ার করে এই উল্লেখ করে যে ভিডিও টি নাকি বাংলাদেশের রাজারবাগ অঞ্চলের। এই বিষয়ে একটি পোস্ট দেখা যাবে এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম 'ম্যান বিট চাইল্ড,' 'চাইল্ড বিটেন বাই ফাদার' প্রভৃতি শব্দে কিওয়ার্ড সার্চ করে গুগুলে। ২০১৮ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রকাশিত টাইমস্ অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। যা এখানে পড়া যাবে। ওই প্রতিবেদনের ওয়েব পেজে একই ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে।
কর্ণাটকের পশ্চিম ব্যাঙ্গালোর এর কেঙ্গেরির ঘটনা এটি।
৩৭ বছর বয়সের পোশায় জলের পাইপমিস্ত্রি মহেন্দ্র কুমার তার ১০ বছর বয়সী ছেলেকে মারার দৃশ্য এটি। কর্ণাটক পুলিশ মহেন্দ্র কুমারকে পরে গ্রেফতার করে।
২০১৭ সালের নভেম্বরে মহেন্দ্র কুমার তার ছেলেকে মিথ্যে কথা বলার আপরাধে প্রহার করার সময় তার স্ত্রী এটির ছবি তুলে রাখে। পরের বছর ২৫ জানুয়ারী ওই ফোনটি দোকানে সারাতে দিলে ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসে।
ওই মোবাইল মিস্ত্রী সোস্যাল মিডিয়ায় আপলেড করলে ভিডিওটি ভাইরাল হয়। মহেন্দ্র কুমারকে গ্রেফতারির পর জুভেনাইল কোর্টে পেশ করলে বেলে ছাড়া পান তিনি। এব্যাপারে দ্য নিউজমিনিট খবর প্রকাশ করেছিল।
ডিপিএস রাজবাগ কাঠুয়ার নামে আরেকটি ভিডিও ভাইরাল
২০১৯ সালে জানুয়ারী মাসে ডিপিএস রাজবাগ কাঠুয়ার নামে এরকমই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ওই ভিডিওটি সিরিয়ার দারার। ফ্রি সিরিয়ান আর্মি ৯ বছর বয়সী এক বালককে অপহরন করে। এবং অত্যচারের সেই ভিডিওটি তার বাবা মাকে পাঠায়। ডিপিএস রাজবাগ কাঠুয়ার শিক্ষকের প্রহারের দৃশ্য বলে ফেসবুক ও হোয়াটস্অ্যাপে ভাইরান হয় সেটি। এব্যপারে প্রাশিত খবার পড়া যাবে এখানে।