BOOM
  • ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক
  • আইন
  • Home-icon
    Home
  • Authors-icon
    Authors
  • Contact Us-icon
    Contact Us
  • Methodology-icon
    Methodology
  • Correction Policy-icon
    Correction Policy
  • ফ্যাক্ট চেক-icon
    ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ-icon
    বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক-icon
    ফাস্ট চেক
  • আইন-icon
    আইন
  • Home
  • ফ্যাক্ট চেক
  • ভাইরাল হওয়া ধর্ম ও রাজনীতি...
ফ্যাক্ট চেক

ভাইরাল হওয়া ধর্ম ও রাজনীতি সংক্রান্ত অডিও ক্লিপটি লক্ষ্মী মিত্তলের নয়: আর্সেলরমিত্তল

একটি টুইট করে আর্সেলরমিত্তল জানিয়েছে যে অডিওটিতে যে গলা শোনা যাচ্ছে, তাকে ভ্রান্ত ভাবে লক্ষ্মী মিত্তলের কণ্ঠস্বর বলে দাবি করা হয়েছে।

By - Swasti Chatterjee |
Published -  25 Sept 2019 6:23 PM IST
  • একটি অডিও ক্লিপ। তাতে শোনা যাচ্ছে, এক জন লোক ‘এক দেশ, এক ধর্ম’ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলছেন। গলাটি ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্টিল টাইকুন লক্ষ্মী মিত্তলের বলে দাবি করা হচ্ছে। দাবিটি ভুয়ো।

    বিশ্বের বৃহত্তম ইস্পাত নির্মাতা সংস্থা আর্সেলরমিত্তল তাদের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জানিয়েছে, গলাটি লক্ষ্মী মিত্তলের নয়। এ মাসের গোড়ায় অডিও ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছিল। তার প্রতিক্রিয়াতেই আর্সেলরমিত্তল থেকে টুইটটি করা হয়।

    লক্ষ্মী মিত্তল সংস্থার চেয়ারম্যান ও সিইও।

    “একটি অডিও ফাইল অনলাইনে ঘুরছে, যাতে ভারতীয় রাজনীতি ও ধর্ম বিষয়ে কিছু মন্তব্য আছে। মন্তব্যগুলি আমাদের চেয়ারম্যান ও সিইও-র বলে দাবি করা হয়েছে। আমরা জানি না কণ্ঠস্বরটি কার, কিন্তু তিনি শ্রী লক্ষ্মী মিত্তল নন।” ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে আর্সেলরমিত্তল টুইটটি করে।



    আমরা ইমেলের মাধ্যমে আর্সেলরমিত্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সংস্থাটি আবারও জানায় যে এই অডিও ক্লিপটির বক্তা লক্ষ্মী মিত্তল নন।

    ৪ মিনিট ৯ সেকেন্ড লম্বা ক্লিপটি একটি বার্তাসমেত হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হয়েছে “এই ভাষণটি দিয়েছেন মিস্টার লক্ষ্মী মিত্তল (ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইস্পাত নির্মাতা)“

    বুম তার হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন নম্বর ৭৭০০৯০৬১১১-এ এই মেসেজটি পেয়েছে।

    এই কথাগুলি কোনও কথোপকথনের অংশ কি না, অথবা কোন প্রেক্ষিতে বক্তা কথাগুলি্ বলছেন, তা ক্লিপটি থেকে স্পষ্ট নয়।

    এই ক্লিপটিতে আসল বক্তা কে, বুম তা পৃথক ভাবে যাচাই করতে পারেনি।

    https://www.boomlive.in/wp-content/uploads/2019/09/WhatsApp-Audio-2019-09-23-at-11.10.40-AM.ogg

    বক্তা তার কথার একটি জায়গায় নিজেকে টাটার পরেই ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইস্পাত নির্মাতার নাতি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রতিটি দেশেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ‘এক দেশ এক ধর্ম’ নীতি মেনে চলেন।

    “একমাত্র ভারতই বহু-সাংস্কৃতিক, বহু-ধর্ম। মুসলিম লিগ আমাদের ঘাড়়ে স্বাধীনতা চাপিয়ে দিয়েছিল। তারা নিজেদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র চেয়েছিল,” বক্তা মত প্রকাশ করেছেন।

    ভাইরাল হওয়া এই অডিও ক্লিপটিতে বক্তা ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে দোষারোপ করেন।

    “আজ ভারতের ৯৯ শতাংশ রাজনৈতিক নেতাই সংখ্যালঘুদের তোষণ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন, যেন রাজনীতিতে আর কোনও প্রশ্নই নেই। (ভারতে কোনও) উন্নয়ন হচ্ছে না,” ক্লিপটিতে এই কথা বলা হয়েছে।

    বক্তা আরও বলেন যে উন্নত দেশগুলি ধর্মনিরপেক্ষ নয়। “ব্রিটিশ কোনও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র নয় (কিন্তু) তারা উন্নত দেশ। জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র(ও) ধর্মনিরপেক্ষ নয়।” ভারতের উন্নয়নে এই ধর্মনিরপেক্ষতার কী প্রভাব পড়েছে, বক্তা সেই প্রশ্নও তোলেন।

    তার পর তিনি দাবি করেন, যবে থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘নেশন ফার্স্ট’ বা ‘দেশই প্রথম’ বলেছেন, তবে থেকেই “লোকে রেগে গিয়েছে।”

    বক্তা আরও দাবি করেন যে হিন্দুরা “পরাধীন হয়েছে, অপমানিত হয়েছে, খুন হয়েছে,” প্রথমে মুসলমান শাসকদের হাতে, তার পর ব্রিটিশদের হাতে। “এটি এক ১০,০০০ বছরের পুরনো সভ্যতা। আমাদের মন্দির আর বই ধ্বংস করা হয়েছে।”

    কেন ভারত দেশ হিসেবে পিছিয়ে রয়েছে, তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “দুনিয়া জুড়ে যখন শিল্পবিপ্লব চলছিল, তখন ব্রিটিশরা ভারত শাসন করছিল।”

    এই বক্তব্যেরই পরবর্তী অংশে বক্তা নিজের পূর্বপুরুষদের কথা উল্লেখ করে দাবি করেন যে তারা টাটাদের পরেই ভারতের বৃহত্তম ইস্পাত নির্মাতা ছিলেন।

    “আমার ঠাকুর্দা ছিলেন টাটাদের পরেই দেশের বৃহত্তম ইস্পাত নির্মাতা। এবং, আমরা যাতে আরও উৎপাদন না করি, তার জন্য ব্রিটিশরা খুবই কড়াকড়ি করেছিল। স্ক্রু এবং পেরেক নির্মাণ করতে আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল। ওগুলো শেফিল্ড আর ম্যানচেস্টার আর ব্রিস্টল থেকে আমদানি করা হত।”

    আজকের প্রসঙ্গে এসে বক্তা বলেন, “ভারত এখন এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। এখন এমন এক জন প্রধানমন্ত্রী আছেন, যিনি বলেন ভারতই প্রথম। আর আমরা তাঁকে হিন্দু হওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করি। এটি ১০,০০০ বছরের প্রাচীন সভ্যতা। তা হলে তাই।”

    এর পর বক্তা রোম ও সৌদি আরবের মতো দেশের প্রসঙ্গ এনে বলেন, “ভ্যাটিকান বা মক্কায় কেউ কোনও হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রাখতে পারবে না। রাম জন্মভূমির প্রশ্নটি ৩৫০ বছর ধরে ঝুলে আছে। রোমে এমন ঘটনা ঘটছে, ভাবতে পারেন?” “দেশের অবশিষ্ট অংশ বহু যুগ ধরে যা অনুশীলন করে এসেছে, হিন্দুরাও ধীরে ধীরে সেই কথাটা বুঝতে পারছে। অন্য কোনও ধর্ম থাকতে পারে না। হিন্দুরা ক্রমশ এই কথাটি বুঝছে,” এই কথা বলে বক্তা উপসংহার টানেন।

    Tags

    ARCELOR MITTALAUDIOfake newsFeaturedLAKSHMI MITTALSTEEL MAGNATETHIS SPEECH WAS GIVEN BY MR LAXMI MITTALVIRAL AUDIOআর্সেলরমিত্তলইস্পাতএক দেশ এক ধর্মটাটাভ্যাটিক্যানমক্কা রোমমুসলমানলক্ষ্মী মিত্তলসৌদি আরবহিন্দুহোয়াটসঅ্যাপ
    Read Full Article
    Next Story
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors.
    Please consider supporting us by disabling your ad blocker. Please reload after ad blocker is disabled.
    X
    Or, Subscribe to receive latest news via email
    Subscribed Successfully...
    Copy HTMLHTML is copied!
    There's no data to copy!