BOOM
  • ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক
  • আইন
  • Home-icon
    Home
  • Authors-icon
    Authors
  • Contact Us-icon
    Contact Us
  • Methodology-icon
    Methodology
  • Correction Policy-icon
    Correction Policy
  • ফ্যাক্ট চেক-icon
    ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ-icon
    বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক-icon
    ফাস্ট চেক
  • আইন-icon
    আইন
  • Home
  • ফাস্ট চেক
  • ভাইরাল ভিডিওতে ২০১৩ বনাম ২০১৯-এর...
ফাস্ট চেক

ভাইরাল ভিডিওতে ২০১৩ বনাম ২০১৯-এর অর্থনীতির ওপর রবীশ কুমারকে কেন্দ্র করে প্রচারিত বক্তব্য বিভ্রান্তিকর

দুটি প্রাইম টাইম শোয়ের পূর্ণাঙ্গ অনুষ্ঠান বুমের হাতে আসে। দেখা যায় একটি ২০১৩ সালের, অন্যটি এক সপ্তাহ আগের।

By - Saket Tiwari |
Published -  10 Sept 2019 11:59 AM IST
  • ফেসবুকে একটি ভাইরাল পোস্টে সাংবাদিক ও টিভি সঞ্চালক রবীশ কুমারকে অর্থনীতির ওপর কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। উনি বলছেন যে, "অর্থনীতির ব্যাপারে আমরা কি বেশি হতাশ হয়ে পড়ছি বা বেশি হাহুতাস করছি? এটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পৃথিবীর বিকাশশীল দেশগুলির মধ্যে একটিও পাঁচ শতাংশ হারে বাড়ছে না"।

    "कहीं हम जरूरत से ज़्यादा, यह भी एक महत्त्वपूर्ण बात है, दुखी या रोंदू तो नहीं हो रहे हैं अर्थव्यवस्था को लेकर। क्योंकि दुनिया की जो तमाम अर्थव्यवस्थाएं हैं उनमें बहुत कम देश है जो पांच प्रतिशत की रफ़्तार से भी बढ़ रहे हैं।"

    ভিডিওটির স্ক্রিন দু-ভাগে ভাগ-করা ছিল। একটা স্ক্রিনে তাঁর এই কথা শেষ হওয়ার পরেই, অন্য ভাগে তাঁকে অন্যরকম কথা বলতে শোনা যায়। সেখানে মি.কুমার বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার তীব্র সমালোচনা করেন। উনি বলেন, "ভারতের অর্থনীতি ভাল অবস্থায় নেই। বাস্তব পরিস্থিতি ধামাচাপা দেওয়ার সব চেষ্টা করা সত্ত্বেও, জিডিপির পরিসংখ্যান ক্ষতগুলি প্রকাশ করে দিচ্ছে। পাঁচ শতাংশ জিডিপির হার প্রমাণ করছে যে ভারত এখন এক গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে আছে"।

    "भारत की अर्थव्यवस्था अच्छी स्थिति में नहीं है। इससे छिपाने की तमाम कोशिशों के बीच आज जीडीपी के आंकड़ों ने ज़ख़्म को बाहर ला दिया। पांच प्रतिशत की जीडीपी इस बात की पुष्टि करती है की भारत की अर्थव्यवस्था मंदी की चपेट में आ चुकी है।"

    আর ক্লিপটির শেষের দিকে অন্য একটি ক্লিপ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে তির্যক মন্তব্য করে উনি বলছেন, "নিজের আদর্শ ধরে রাখাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।" ("बड़ा मुश्किल होता है अपनी वैल्यूज़ को बचाए रखना")

    কয়েকদিন ধরে সোশাল মিডিয়ায় এই ভিডিও হু-হু করে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুক পোস্টটি নীচে দেখা যাবে এবং পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।

    নীচে রয়েছে একটি টুইটের পোস্ট। অনেক দক্ষিণপন্থী টুইটার হ্যান্ডলও সেটি শেয়ার করে।



    টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।



    টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।

    চিত্রপরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীও টুইটটি শেয়ার করেন। টুইটটি নীচে দেখা যাবে। টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।

    একজন বিজেপি নেতা কপিল শর্মাও টুইট করেছিলেন।



    'নেশন টিভি'র কনসালটেন্ট এডিটর দীপক চৌরাসিয়াও ওই একই বিভ্রান্তিকর টুইট রি-টুইট করেন। আর ক্যাপশনে উনি কটাক্ষ করে লেখেন: "ম্যাগস্যাসে পুরষ্কার পাওয়ার জন্য আমার বন্ধু রবীশ কুমারকে অভিনন্দন। সম্মান জানাতে, দর্শকরা যে ভিডিও পাঠিয়েছেন তা আপনাকে পাঠালাম।"

    (मेरे मित्र रवीश कुमार को रोमन मैंग्सेसे मिलने पर हार्दिक बधाई । दर्शकों द्वारा भेजा गया एक वीडियो आपके सम्मान में भेज रहा हूँ)।



    তথ্য যাচাই

    প্রথম ক্লিপ:

    প্রথম ক্লিপটি এনডিটিভির ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সালে। অর্থাৎ, ছ' বছর আগে। মূল ভিডিওটিতে মি.কুমার কয়েকজনের বক্তব্য দিয়ে প্রোগ্রাম শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদ। মে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে অর্থনীতিতে যে মন্দা দেখা দিয়েছিল, তার সমালোচনা করেন তাঁরা সকলেই। ওই শোতে অর্থনৈতিক সঙ্কটের ওপর আলোকপাত করা হয়। আলোচিত হয় খরা, অপ্রতুল বিদেশি বিনিয়োগ, আমদানি বৃদ্ধি, রপ্তানি হ্রাস — অর্থাৎ, অর্থনীতির সেই সব দিক যেগুলি ভাল ভাবে কাজ করছিল না। এনডিটিভিতে মি.কুমারের অনুষ্ঠানের নাম ছিল 'প্রাইম টাইম ইন্ডিয়া'। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরাম যেদিন সাংসদে ২০১২-১৩ অর্থবর্ষের অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করেন, সেই দিনই ওই অনুষ্ঠানটি হয়।

    উনি ঠিক কী বলেছিলেন?

    রাজনৈতিক নেতা, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের মন্তব্য শেষ হয়ে গেলে, কুমার তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অনুষ্ঠান শুরু করেন। উনি বলেন, "ভারতের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা ভাল নয়। ভবিষ্যতে তা ভাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অতীতে ভারতের বিকাশ হচ্ছিল ৮ বা ৯ শতাংশ হারে। সেই তুলনায়, এখন সব সূচকই বেশ ধীর গতির ইঙ্গিত দিচ্ছে..."

    "वर्तमान काल में देश की आर्थिक स्थिति ठीक नहीं है। भविष्य काल में ठीक होने का अनुमान है। भूतकाल से तुलना करने पर यानी जब भारत 8 या 9 प्रतिशत की दर से आगे जा रहा था अर्थव्यवस्था का हर सूचकांक धीमी गति के समाचार की तरह प्रतीत हो रहा है…"

    এটাই ছিল ভিডিওটির শুরুর অংশ। এর পর ৩ মিনিটের মাথা থেকে ৭ মিনিট পর্যন্ত, মি.কুমার অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট ও তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পদক্ষেপগুলি বিশ্লেষণ করেন। তাছাড়া, সরকার ওই পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে কি মনে করছে, সে কথাও জানান কুমার। ২০১৪'র লোকসভা নির্বাচনের আগে, ইউপিএ সরকারের শেষ বাজেট পেশ করার আগের দিন ওই অনুষ্ঠানটি হয়।

    ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশিত অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্টের স্ক্রিন শট।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির বিভ্রান্তিকর অংশটির আগে, মি.কুমার বলেন, "এই সমীক্ষার ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট পেশ করা হবে। নাকি, সরকারে আসার জন্য যে ২৭২ আসন প্রয়োজন, সেই অঙ্ক মাথায় রেখেই তৈরি হবে বাজেট"

    "बजट तीन सौ पन्ने के सर्वे से बनेगा या सरकार बनाने के लिए जरूरी 272 की संख्या को ध्यान में रखकर"

    এর পর তিনি যা বলেন, তা ওই ভাইরাল ভিডিওয় জুড়ে দেওয়া হয়েছে: "অর্থনীতির ব্যাপারে আমরা কি বেশি হতাশ হয়ে পড়ছি বা বেশি হাহুতাস করছি? এটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পৃথিবীর বিকাশশীল দেশগুলির মধ্যে একটিও পাঁচ শতাংশ হারে বাড়ছে না। এই সব বিষয়গুলো আমরা প্রাইম টাইম টিভিতে আলোচনা করব..."

    "कहीं हम जरूरत से ज़्यादा, यह भी एक महत्त्वपूर्ण बात है, दुखी या रोंदू तो नहीं हो रहे हैं अर्थव्यवस्था को लेकर | क्योंकि दुनिया की जो तमाम अर्थव्यवस्थाएं हैं उनमें बहुत कम देश है जो पांच प्रतिशत की रफ़्तार से भी बढ़ रहे हैं |तो इस सब सवालों पर हम बात करेंगे आज प्राइम टाइम में…"

    একটা ব্যাপার পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। তা হল, মি.কুমার অর্থনীতির ওপর একটি টিভি বিতর্কের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছিলেন। তিনি যা বলছিলেন তা আদৌ তাঁর নিজস্ব বিশ্লেষণ নয়। ৪৫ মিনিট চলে ওই আলোচনা। তাতে কংগ্রেসের মুখপাত্র সঞ্জয় নিরুপমের সমালোচনাও করেন মি.কুমার।

    মি.নিরুপম আর মি.কুমারের মধ্যে বাক্যবিনিময়ের নির্বাচিত অংশ নীচে দেওয়া হল।

    রবীশ: এই রিপোর্টটিকে আমরা কেন (ইউপিএ) সরকারের ব্যর্থ নীতির প্রমাণ হিসেবে ধরব না। শুধু বিশ্বব্যাপী সঙ্কট বললে কোনও সমাধান হবেনা, স্যার"।

    সঞ্জয়: রবীশ, প্রথমত, আমি বলতে চাই যে, অর্থনৈতিক সমীক্ষার যে পুস্তিকা বা বই আপনি ধরে আছেন, সেটি কোনও পলিসি সংক্রান্ত বিবৃতি নয়। ওটা বছরের অর্থনৈতিক অবস্থার দলিল...আমরা একটা সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলেছি ঠিকই, কিন্তু ভারত কখনওই সিংহ থেকে ছাগলে পরিণত হবে না।

    রবীশ: আপনি বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে খুব ভাল ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু আমি যেটা জানতে চাইছি তা হল, কেউ কি দায় স্বীকার করবে? ২০০৪ সাল থেকে একটা স্থিতিশীল জোট সরকার চলছে। আপনি অন্য বিষয়গুলি ভাল ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু তা হলে আর্থিক ঘাটতির পরিমাণ বাড়ল কেন?

    (ওই বিতর্ক অনুষ্ঠান থেকে নেওয়া কথোপকথনের অংশবিশেষ অনুবাদ করা হয়েছে। রবীশ কুমার আলোচনার কোনও পর্যায়ই সঞ্জয় নিরুপমকে ছেড়ে দেননি।)

    বুম ভাইরাল পোস্টটি সম্পর্কে রবীশ কুমারের মতামত জানতে চান। উনি বলেন: "আমায় ছোট করার কোনও সুযোগ হাত ছাড়া করে না আইটি সেল। সাংবাদিকরা এবং লোকজন সত্যটা জানেন। দুঃখের কথা হল, তা সত্ত্বেও তাঁরা এই ধরনের প্রচারের শিকার হন। এর থেকে আবারও প্রমাণ হয় যে, খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ক্ষমতাবান সব শক্তি আমার পেছনে লেগেছে। আজ রাতে আমার একটা প্রোগ্রাম আছে। নাম, 'গোদি মিডিয়া' (কোলে-বসা মিডিয়া)। তাঁদের সেটা দেখা উচিৎ। দেখলেই বুঝবেন কি ধরনের নিকৃষ্ট আর লজ্জাজনক পর্যায়ে নেমেছে সাংবাদিকতা।"

    "जब भी मुझसे जुड़ा कोई मौका आता है आई टी सेल बदनाम करने का मटीरियल ले आता है। दुख होता है कि जानते हुए भी पत्रकार और लोग झाँसे में आ जाते हैं। एक और बार साबित होता है कि मेरे पीछे कितनी बड़ी शक्तियाँ लगी हैं। उन्हें आज शाम का कोई शो देख लेना चाहिए जो गोदी मीडिया पर आने वाला होगा। पत्रकारिता की शर्मनाक स्थिति पर बहुत कुछ मिल जाएगा।"

    দ্বিতীয় ভিডিও ক্লিপ

    আসল ভিডিওটি এক সপ্তাহ আগে, ৩০ অগস্ট ২০১৯ তারিখে, আপলোড করা হয়। জিডিপি আবার ৫ শতাংশয়ে নেমে এসেছে এবং আরও মন্দার সম্ভাবনা রয়েছে, সরকার এ কথা ঘোষণা করার পর সেটি সম্প্রচার করা হয়। আপনি পুরো ভিডিওটি নীচে দেখতে পারেন। বেকার মানুষ আর ব্যবসায়ীরা (মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত) কী বলছেন, সে কথাই তুলে ধরেছেন রবীশ। এই ভিডিওটির একটা অংশ কেটে জুড়ে দেওয়া হয়েছে সেই ছ' বছরের পুরনো ভিডিওর সঙ্গে। রবীশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই তার উদ্দেশ্য।

    নীচে-দেওয়া অনুষ্ঠানের ভিডিওতে আপনি ৩০ সেকেন্ডের কাটা অংশটি দেখে নিতে পরেন।

    ওই অনুষ্ঠানে, মি.কুমার ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের দেওয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেই কথা বলছিলেন। প্রোগ্রামটি থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, হিন্দি সংবাদ টিভি চ্যানেলের প্রখ্যাত সঞ্চালক আজ যতটা সমালোচনা করছেন, ২০১৩ সালেও ঠিক ততটাই করেছিলেন।



    বুম রবীশ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাঁর মতামত পাওয়ার গেলে এই প্রতিবেদন সংস্করণ করা হবে।

    Tags

    CongressECONOMIC SURVEY REPORT 2012-13FAKE CLAIMFeaturedGDPMISLEADING POSTNDTV
    Read Full Article
    Claim :   রবীশ কুমারের ভন্ডামি
    Claimed By :  FACEBOOK PAGES AND TWITTER
    Fact Check :  False
    Next Story
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors.
    Please consider supporting us by disabling your ad blocker. Please reload after ad blocker is disabled.
    X
    Or, Subscribe to receive latest news via email
    Subscribed Successfully...
    Copy HTMLHTML is copied!
    There's no data to copy!