প্রধানমন্ত্রী মোদি কী ১৫ লাখ টাকা প্রতি মাসের বেতনে প্রসাধন শিল্পী ভাড়া করেছেন?
ভিডিওটি ২০১৬ সালের। সেবছর মাদাম তুসো মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে একটি দল প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবনে আসেন।
একটি ফেসবুক পোস্টে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রসাধনক্রিয়ার। ওই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী পোস্টটিতে ক্যাপশন লিখেছেন, ‘‘বাঁধা বিদেশি বিউটিশিয়ানদের কাছে বাবু কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সাজুগুজু করেন!’’ পোস্টটি নীচে দেওয়া হল। পোস্টটি এখানে আর্কাইভ করা আছে।
অন্য একটি ফেসবুক পোস্টে আগের বছর দাবি করা হয়েছিল। ১৫ লাখ টাকা মাস মাইনেতে ওই প্রসাধন শিল্পী কে নিয়োগ করা হয়েছে। পোস্টটি এখানে আর্কাইভ করা আছে। নীচে ভাইরাল হওয়া পোস্টটির স্ক্রিনশট দেওয়া হল।
ভাইরাল হওয়া পোস্টটি আগের বছর ফেসবুকে অনেকজন শেয়ার করেছিলেন।
তথ্য যাচাই
ভিডিওটি ২০১৬ সালের। সেবছর মাদাম তুসো মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে একটি দল প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবনে আসেন। তাদের মিউজিয়ামের জন্য অবিকল একটি প্রতিরূপ গঠনের জন্য মাপজোক ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রের জন্য আসেন তারা।
ছবিতে যাকে প্রসাধন শিল্পী ভাবা হয়েছে ওই মহিলা প্রধানমন্ত্রীর মুখমন্ডলের প্রসাধনক্রিয়া করছেননা। বরং, তিনি একটি চোখের তারা ধরে প্রতিমূর্তি তৈরির জন্য মুখমন্ডলের বৈশিষ্ট্য জরিপ করছেন।
ছবিটিতে মহিলার হাতে ধরা কিটটিতে মাদাম তুসো মিউজিয়মের লোগো রয়েছে।
হবহু একইরকমের একটি ভিডিও মাদাম তুসো’র ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাবে।
‘‘মিস্টার মোদির অবয়ব তার বিশেষ মাখন রাঙা কুর্তা ও জ্যাকেট শোভিত এবং সনাতনী নমস্কারের ভঙ্গিমায় করা হয়েছে। লন্ডনের এই অবয়বটি চারজন রাষ্ট্রনায়কের একটি, বাকী তিনটি রাখা হচ্ছে মাদাম তুসোর সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ব্যাংককের আবাসে। প্রতিটি অবয়ব তৈরি করতে প্রতিভাবান শিল্পীদের একটি দল চারমাস সময় নিয়েছে এবং ব্যায় হয়েছে ১৫০,০০০ পাউন্ড।’’ একথা এপ্রিল ২০১৬ তে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল মারলিন এন্টারটেইনমেন্ট পিএলসি। ওই সংস্থাটির তত্বাবধানে মাদাম তুসো পরিচালিত হয়।