ভাইরাল-হওয়া গ্র্যাফিকে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে যে, দেশজুড়ে মদ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে
যে ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হয়েছে সারা দেশে মদ নিষিদ্ধ করা হবে, সেটি কারিকুরি করা এবং মিথ্যে
একটি ছবিতে কিছু গ্র্যাফিকের সাহায্যে দাবি করা হয়েছে সারা দেশে মদ নিষিদ্ধ হতে চলেছে। কিন্তু ছবিটি কারিকুরি করা এবং মিথ্যে।
ওই সোশাল মিডিয়া পোস্টে হিন্দি সংবাদ চ্যানেল ‘আজ তক’-এর ‘টেমপ্লেট’ বা তার নিজস্ব ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে, আর তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি।
ওই ভাইরাল ফোটোতে একটা খবরের ফ্ল্যাশ রয়েছে। তাতে লেখা আছে, “আজ রাত থেকে সারা ভারতে মদ নিষিদ্ধ হচ্ছে।” (आज रात से पूरे भारत में शराब बंद)
পোস্টটির সঙ্গে একটি ক্যাপশনও আছে। তাতে বলা হয়েছে, ‘বারাবাঙ্কিতে মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনার পর, মোদীজি একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ রাত থেকে সারা ভারতে মদ নিষিদ্ধ হচ্ছে।’
(হিন্দি বয়ানটি হল: बाराबंकी शराब हादसे के बाद से मोदी जी का अहम फैसला आज रात से पूरे भारत मे अल्कोहल शराब बंद ।)
উত্তর প্রদেশের বারাবাঙ্কিতে ২৮ মে ২০১৯ তারিখে বিষ মদ খেয়ে ২৩ জন মারা যান।
ভাইরাল পোস্টের আর্কাইভ সংস্করণ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
একই ছবি একই ধরনের ক্যাপশন সমতে টুইটারেও শেয়ার করা হয়।
তথ্য যাচাই
সারা ভারতে মদ নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি-করা নির্দেশিকার খোঁজ করে বুম। কিন্তু তেমন কিছুই পাওয়া যায় না।
সাম্প্রতিককালে মদ নিষিদ্ধ করার একমাত্র খবর আসে মিজোরাম থেকে। উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্য এক সময় সম্পূর্ণ মদ বর্জিত ছিল। এ বছর ২৮ মে, ওই রাজ্য আবার মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
বুম ভাইরাল-হওয়া পোস্টটি খুঁটিয়ে দেখলে বেশ কয়েকটি অসঙ্গতি চোখে পড়ে।
মোদীর ছবির ওপর রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায় যে, সেটি দু’বছর আগে ২০১৬ সালে নতুন বছর শুরুর মুখে তোলা হয়েছিল।
৩১ ডিসেম্বর, জাতির উদ্দেশে মোদীর দেওয়া ভাষণের ভিডিওটি নীচে দেওয়া হল।
তারপর, আমরা খবরের ফ্ল্যাশ আর টিকারে ব্যবহার করা অক্ষরগুল তুলনা করি। দেখা যায়, স্ক্রিনে টিকারের অক্ষরগুলির চেয়ে ফ্ল্যাশের অক্ষরগুলি অনেক বেশি উজ্জ্বল।
ডান দিকের কোণে একটি ডিজিটাল ঘড়ি, ফোটোশপ-করা খবরের ফ্ল্যাশের নীচে ঢাকা পড়ে গেছে।