মমতার ভাষণের অংশকে অপ্রাসঙ্গিক রূপ দিয়ে ভাইরাল
'ইমান কা নাম হ্যায় মুসলমান', কিন্তু মমতা ব্যানার্জি এই বলেছেন হিন্দু, খ্রিস্টান এবং শিখদের উদ্দ্যেশ্য করে
ইউনাইটেড ইন্ডিয়া সমাবেশ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভাষণের একটি ক্লিপ আবার তাঁর 'মুসলিম তোষণ পলিসি'র দাবি করে ভাইরাল করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে বেশ কয়েকটি পোস্ট এই বিষয়ে শেয়ার করা হয় – পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যালঘুদের প্রতি 'নরম মনোভাব' চিরকালের মতন এখনও বজায় রেখেছেন। এবং দেশের হিন্দুদের উপেক্ষা করছেন তিনি।
১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডস (কলকাতা) এ ইউনাইটেড ইন্ডিয়া সমাবেশের সম্প্রচারিত একটি টেলিভিশনের স্ক্রিনশট নিয়ে ইউজাররা দাবি করেছেন যে মমতা ব্যানার্জী প্রধানমন্ত্রী হলে কতটা কঠিন হতে পারেন, একাধিক টুইট এবং ফেসবুক পোস্টে। একজন টুইটার ইউজার গৌরব প্রধান, যাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফলো করেন, স্ক্রীন গ্র্যাব টি (যেখানে মমতা ব্যানার্জির ভিডিওর সাথে একটি কোট আছে 'ইমান কা নাম হ্যায় মুসলমান') শেয়ার করে লেখেন, "ধর্মনিরপেক্ষ বাক্য। তাহলে ভাবুন ইনি প্রধানমন্ত্রী হলে কি হবে।" প্রধানের টুইট একাধিক বার বুম তথ্য যাচাই করে মিথ্যা প্রমাণ করেছে।
একাধিক পোস্টে, ছবিটি শেয়ার করে, উক্তি করা আছে , "এবার সব কিছু সামনে। সব হিন্দুরা তাহলে বেঈমান।"
কিন্তু পোস্টটি সম্পূর্ণ ভাবে বিভ্রান্তিকর।
ব্রিগেডের ভাষণকে যথাযত ভাবে টুইস্ট করা হয়েছে, পোস্টগুলিতে। ছবিটির পূর্বে ইন্ডিয়া টুডেও তথ্য যাচাই করে।
বুম তদন্ত করে দেখেছে যে ভিডিওটি আসলে NDTV খবর (হিন্দি) চ্যানেলের লাইভ টেলিকাস্টের। নীচে লিঙ্ক দেখে নিন। ২০ মিনিট ৫২ সেকেন্ডে দেখুন মমতার ধর্ম নিয়ে উল্লেখ। তিনি বলেন, "হিন্দুদের ত্যাগ, মুসলমানদের ঈমান, খ্রিস্টদের ভালবাসা এবং এবং শিখদের যোদ্ধার পরিচয় নিয়ে একজোট ভারত।
এখানে মমতা ব্যানার্জীর ব্রিগেড সমাবেশের লাইভ ভিডিও টি দেখে নিন।