BOOM
  • ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক
  • আইন
  • Home-icon
    Home
  • Authors-icon
    Authors
  • Contact Us-icon
    Contact Us
  • Methodology-icon
    Methodology
  • Correction Policy-icon
    Correction Policy
  • ফ্যাক্ট চেক-icon
    ফ্যাক্ট চেক
  • বিশ্লেষণ-icon
    বিশ্লেষণ
  • ফাস্ট চেক-icon
    ফাস্ট চেক
  • আইন-icon
    আইন
  • Home
  • ফ্যাক্ট চেক
  • উত্তর কোরিয়ার কিম জঙ উন এক...
ফ্যাক্ট চেক

উত্তর কোরিয়ার কিম জঙ উন এক দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছেন ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ভুয়ো

ভিডিওটি ২০১৮ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত আন্তঃকোরিয়া শীর্ষ বৈঠকে কিম জঙ উন এর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন-এর সাক্ষাতের একটি সম্পাদিত সংস্করণ।

By - Sneha Alexander Alexander |
Published -  17 Aug 2019 11:36 AM IST
  • সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জঙ উন একটি লোকের সঙ্গে কয়েক পা হেঁটে যাওয়ার পর পায়ের নীচের একটি পাটাতন নিজে থেকে সরে যাচ্ছে এবং লোকটি তার নীচে তলিয়ে যাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, কিম তাঁর সরকারের এক দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারকে এ ভাবেই মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছেন।

    ১২ সেকেন্ডের এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কিম জঙ উন একজন লোকের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের পর তার সঙ্গে কিছুটা হেঁটে যাচ্ছেন, আর তার পরেই লোকটির পায়ের তলার পাটাতন সরে গিয়ে সে নীচে তলিয়ে যাচ্ছে। লোকটি তলিয়ে যাওয়ার পরই পাটাতনটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। গোটা ঘটনাটা মিডিয়ার সামনেই ঘটছে এবং তারপর কিম একা হেঁটে ফিরে আসছেন। যেন লোকটিকে শাস্তি দেবার জন্যই গোটা ঘটনাটা সাজানো হয়েছে।



    তবে এই ভিডিওটি কাটছাঁট করে বানানো এবং এটি বানিয়েছে একটি ব্যঙ্গাত্মক ইউটিউব চ্যানেল ফানমোমেন্টস.এনএল। ভিডিও ক্লিপিংটির বাঁদিকের কোণে এবং শেষেও ওই চ্যানেলের লোগো বা প্রতীকটি দেখা যাচ্ছে।

    আর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জঙ উন-এর সঙ্গে যাঁকে বধ্যভূমি পর্যন্ত যেতে দেখা যাচ্ছে, ভাইরাল ভুয়ো ভিডিওর দাবি মতো তিনি আদৌ উত্তর কোরীয় সরকারের কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার নন, তিনি হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন।

    ২০১৮ সালের এপ্রিলে আন্তঃকোরিয়া শীর্ষ বৈঠকের সময় দুই কোরিয়ার নেতার সাক্ষাত্কারের তোলা ভিডিওটিকেই এ ভাবে কাটছাঁট করে সম্পাদনা করা হয়েছে। ২৬ এপ্রিল তারিখে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জঙ-আন দুই কোরিয়ার সাধারণ সীমান্ত পানমুনজম-এর সীমারেখা পেরিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে করমর্দন করলে গোটা বিশ্বেই তার ছবি ছড়িয়ে পড়ে।

    বিগত সাত দশক ধরে তীব্র শত্রুতার মধ্যে সহাবস্থান করা এই দুই দেশের কাছেই এটাকে একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে গণ্য করা হয়। তা ছাড়া, ১৯৫০-৫৩ কোরীয় যুদ্ধের পর এই প্রথম কোনও উত্তর কোরীয় রাষ্ট্রনায়ক দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে পা রাখলেন। এই শীর্ষ বৈঠকে উভয় নেতাই যুদ্ধ শেষ করে দেওয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। দুই নেতার করমর্দন কিম-মুন করমর্দন বলেও পরিচিত হয়।

    আসল ভিডিওটি নীচে দেওয়া হল (১: ২০ সময় থেকে দেখুন)। তাতে দুই নেতাকেই দেখা যাচ্ছে সীমান্তরেখা অতিক্রম করার পর আবার একসঙ্গেই হেঁটে ফিরে আসছেন।



    বুম ফানমোমেন্টসএনএল-এর তৈরি নকল বা ভুয়ো ভিডিওটি খুঁজে পেয়েছে বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া (ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব) মাধ্যমে। ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশন ছিল—“মুনকে কিমের অবাক করা স্বাগতম।”

    ফানমোমেন্টসএনএল বিভিন্ন ব্যঙ্গাত্মক ও হাস্যরসাত্মক বিষয় পোস্ট করে এবং ফেসবুকে নিজেকে একটি প্রমোদমূলক ওয়েবসাইট হিশেবেই পরিচয় দেয়। ইউ-টিউব এবং টুইটারেও নিজের সম্পর্কে এই ওয়েবসাইটের বক্তব্য—“এটি সমসাময়িক ঘটনাবলী নিয়ে মজা করার সাইট।”



    কিন্তু গত কয়েক দিন ধরেই ফানমোমেন্টসএনএল-এর এই ভিডিওটি সম্পূর্ণ অন্য ক্যাপশন দিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ভেসে উঠছে। তা হলো —“উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মিডিয়ার সামনেই তাঁর এক দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছেন।”

    প্রধানত ভারতীয় ফেসবুক ও টুইটার ব্যবহারকারীরা এই ভিডিওটি বেশি শেয়ার করছেন। তা ছাড়া, অনেকে ভিডিওটি বুম-এর হেল্পলাইন নম্বরে (৭৭০০৯০৬১১১) পাঠিয়ে তার সত্যতা যাচাই করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

    কিম-মুন করমর্দন দক্ষিণ কোরিয়ায় খুব জনপ্রিয় হয়েছে এবং অনেকেই সেটা অনুকরণও করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার কোফিক নামইয়াংজু মুভি স্টুডিওতে একটা নকল পানমুনজম গ্রাম বানিয়ে সেখানে করমর্দনের দৃশ্যটি অনুকরণ করে লোকেরা ছবি ও ভিডিও তুলে পোস্ট করছে। স্থানটি পর্যটকদেরও আকর্ষণবিন্দু হয়ে উঠেছে।



    Tags

    FeaturedKIM JONG-UNKIM-MOON HANDSHAKEMOON JAE-INNORTH KOREAPANMUNJOMSOUTH KOREAউত্তর কোরিয়াকিম জঙ উনকিম মুন করমর্দনদক্ষিন করিয়ামুন জে ইন
    Read Full Article
    Claim :   গণমাধ্যমের সামনে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি মৃত্যুদন্ড দিচ্ছেন এক আধিকারিককে
    Claimed By :  FACEBOOK POSTS AND TWITTER HANDLES
    Fact Check :  FALSE
    Next Story
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors.
    Please consider supporting us by disabling your ad blocker. Please reload after ad blocker is disabled.
    X
    Or, Subscribe to receive latest news via email
    Subscribed Successfully...
    Copy HTMLHTML is copied!
    There's no data to copy!