মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী কি নির্বাচনী আধিকারিক কে অসম্মান করেছিলেন?
একটি ভাইরাল হওয়া পোস্ট দাবি করেছে যে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া রসময় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বসেছিলেন। এবং নির্বাচনী আধিকারিককে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁর থেকে মনোনয়ন জমা নিতে হয়।

একটি ছবিতে দেখানো হয়েছে যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বসে বসেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নির্বাচনী আধিকারিককে অসম্মান করেছিলেন। আসলে ছবিটি মিথ্যে এবং ভুল ভাবে প্রচার করা হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দুটি আলাদা ছবি দেখানো হয়েছে। একটিতে রাহুল গান্ধী মনোনয়ন পত্র জমাদিচ্ছেন, অন্যটিতে নরেন্দ্র মোদী।
ফটোটিতে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে রাহুল গান্ধী যখন মনোনয়নপত্র জমাদিচ্ছেন তখন বসে আছেন, আর অপরদিকে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মনোনয়নপত্র জমাদিচ্ছেন, তখন তিনি দাঁড়িয়ে আছেন। আসলে ছবিটিতে দুই নেতার ছবি একসঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে, যেভাবে নামদার ও কামদার মনোনয়নপত্র জমাদিচ্ছেন তাতে আকাশ পাতাল ফারাক।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনেক ক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীকে নামদার বলে ঊল্লেখ করেছেন।

পোস্টটি দেখা যাবে এখানে এবং তার আর্কাইভ ভার্সনগুলি দেখা যাবে এখানে।
পোস্টটি ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে।


ছবিটিতে কোথাও একেবারেই এডিট করা হয়নি, আসলে রাহুল গান্ধীকে ভুল ভাবে দেখানো হয়েছে। ছবিটিতে দেখানো হয়েছে যে কংগ্রেস সভাপতি যখন মনোনয়নপত্র জমাদিচ্ছেন, তখন তিনি বসে আছেন আর নির্বাচনী আধিকারিককে উঠে দাঁড়াতে হচ্ছে রাহুল গান্ধীর মনোনয়নপত্র নেওয়ার জন্য।
অন্য ছবিতে দেখানো হয়েছে এপ্রিল ২৬, ২০১৯-এ বারানসী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মনোনয়নপত্র জমাদিচ্ছেন।

তথ্য যাচাই
আমেথি কালেক্টরেটে রাহুল গান্ধীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ভিডিওটি বুম হাতে পায় এবং দেখতে পায় যে কালেক্টরের ডেস্কের সামনে কোনও চেয়ার ছিল না। সুতরাং, রাহুল গান্ধী বসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, এই দাবিটি মিথ্যে।
ভিডিওটি নীচে দেখতে পাবেন।
ভিডিওটিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর সঙ্গে থাকা সনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বডরা ও রবার্ট বডরা কেউই বসে নেই। শুধুমাত্র ছবিটি এমন কোণ থেকে নেওয়া হয়েছে যে মনে হচ্ছে তাঁরা বসে আছেন।
Claim Review : মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধীর কি নির্বাচনী আধিকারিক কে অসম্মান করা
Claimed By : FACEBOOK POSTS
Fact Check : FALSE
Next Story