রবিবারের সভায় বাম, ইসলামিক সেকুলার ফ্রন্ট ও কংগ্রেস মিলে তৈরি হল সংযুক্ত মোর্চা। ২০২১ বিধানসভা ভোটে জোট ও আসন সমঝোতার কৌশলে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে সংযুক্ত মোর্চা।
মঞ্চে সঞ্চালনা করেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র। মাঝে মাঝে হাল ধরেন ঔশী ঘোষ ও দীপ্সিতা ধর।
কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ অধীরঞ্জন চৌধুরি বলেন, "বিজেপি থাকবে না, টিএমসি থাকবে না, সংযুক্ত মোর্চা থাকবে। দেশের বিরোধীতা করলে দেশদ্রহী, বাংলায় বিরোধিতা করলে রাজদ্রোহী।"
“করোনা এক্সপ্রেস নাম দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের অপমান করা হয়েছে। ১২ টাকা পেট্রোল, ৪ টাকা ডিজেলের দাম কমিয়েছে ছত্তিশগড়। সেখানে বাংলা কমিয়েছে ১ টাকা দাম,” এই প্রথম এত বড় জনসমাবেশে তিনি বক্তব্য রাখছেন জানান অধীররঞ্জন চৌধুরি।
সভায় হাজির ছিলেন পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, তরুন মজুমদার, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী ও অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র সহ বিশিষ্টরা।
সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ ডি রাজা বলেন, “বাংলা বাঁচাও, দেশ বাঁচাও।”
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেল বলেন, “একজনের থেকে দেশ থেকে বাঁচাতে হবে। বাংলা বাঁচাতে হবে অন্য জনের থেকে। প্রথমে লড়েছিলাম গোরাদের থেকে এবার লড়ব চোরেদের সঙ্গে।" উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদ।
মঞ্চে ঝাঁঝালো অলচিকি ভাষা ও বাংলাতে বক্তৃতায় নজর কাড়েন সিপিএম-এর জনজাতি নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী দেবলীনা হেমব্রম। তিনি বলেন, "ভেক ধরে টোপ দেওয়া হচ্ছে।" তৃণমূলকে 'ইঁদুরের মত কুটুস কুটুস ধান কাটা'র সঙ্গে তুলনা করেন।
বাম শরিকদের ভোট দিতে আবেদন করে আইএসফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, “ ধর্ষণের দাম ২ লক্ষ টাকা করেছে মমতা। মমতাকে জিরো করে দেখিয়ে দোব। আমরা ভারতীয়। আমরা গর্বিত।"
সুজন চক্রবর্তী সকাল থেকে পা মিলিয়ে হাজির হন ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে। প্রবীন নেতা বিমান বসু কার্যত মঞ্চে হাল ছাড়েন বাদশা, ঔশী ও দীপ্সিতাদের।
মহঃ সেলিম বলেন "বসন্ত এসে গেছে লাল ফুল ফোটা কেউ আটকাতে পারবে না। ব্রিগেডে আসতে গেলে চ্যাচার্ড প্লেন লাগে না।"
“ঔশী ঘোষের যে মাথা ফাটিয়েছিল, আরএসরা, তাদের খুঁজে পায়নি পুলিশ। তাপ বাড়ছে তৃণমূল গলছে। বিজেপিকে বাষ্পের মত উড়িয়ে দোব।“ বলেন সেলিম।
বিগ্রেডে এই প্রথমবার প্রাইড পতাকার দেখা মেলে। লিঙ্গ সমতা কর্মী ও LGBTIQ+ সমাজের প্রান্তিক যৌনতার বাম সমর্থকরা হাজির হন এসএফএই-এর নারীবাদ ও লিঙ্গ সাম্য গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।
সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, “নিজের নামে খোলা স্টেডিয়ামে আদানি এন্ড ও অম্বানি এন্ড। গরীব ঋণ নিলে টাকা উসুল করা হয়। বড়লোকের টাকা লুঠ করছে। হাম এর হ-তে হিন্দু, ম-তে মুসলিম।“ “ইলেক্টোরাল ফান্ডের হিসেব নেই। প্রধানমন্ত্রীর কোভিড ফান্ড দিয়ে ভোটের পর কেনা বেচা হচ্ছে।"