বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে প্লাটফর্মে বোমা হামলায় আহন হন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

আহতদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখান থেকে মন্ত্রীকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
বাকিদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদেরকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে কলকাতা রওনা হওয়ার জন্য ট্রেন ধরার জন্য নিমতিতা স্টেশনে নেমে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী জাকির হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলীয় কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি স্টেশনে হেঁটে যাওয়ার সময় আচমকা তীব্র বিস্ফোরণ হয়। বোমার আঘাতে মন্ত্রী জাকির হোসেনের হাতে ও পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে মন্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে দেখতে যান। পরে সাংবাদিকেদের বলেন, “এটা জাকিরকে হত্যা করার জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।”
ঘটনায় গুরুতর আহতদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা ও কম আহতদের এক লক্ষ টাকা সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবি তুলে ফেসবুকে লেখেন, “সে তৃণমূলের মধ্যে এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব, পরিশ্রম ও বুদ্ধির জোরে একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি, মানুষের বন্ধু, সে নিজের পরিচয়ে জেতে ও বিধায়ক হয়।”
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "দেখায় যাচ্ছে, এরাজ্যে মন্ত্রীরা সুরক্ষিত নন।" তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি তথা সাংসদ বলেন, "ঘটনার পিছেন যারই থাক পুলিশ যেন তাদের খুঁজে বার করে।"
রাজ্য পুলিশ তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলকে নিমতিতায় পাঠিয়েছে। রেল ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে। রেলের দাবি, তদন্তও শুরু হয়েছে।