একটি দীর্ঘ পোস্টে, ঠিক কি ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করে, তারা লিখেছেন, "সর্বৈব মিথ্যে প্রচার, হবে আইনি ব্যবস্থা আজ বাম-সমর্থিত 'পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ'-র একটি সমাবেশ ছিল ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির পাদদেশে।সভা শেষ হলে অংশগ্রহণকারীরা ফিরে যাবেন, এমনই লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন সংগঠকরা, সভার অনুমতি চাওয়ার সময়।সমাবেশের শেষে সংগঠকরা হঠাৎই ঘোষণা করেন, তাঁরা রাজপথে নেমে আইন অমান্য করবেন, অনির্দিষ্টকাল রাস্তা অবরোধ করবেন। পুলিশের পদস্থ অফিসাররা সংগঠকদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যৰ্থ হন।রাস্তায় নামতে উদ্যত হলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৩ জনকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়।বাকিরা নিজেরাই সভাস্থল ছেড়ে চলে যান।কারোর উপর বলপ্রয়োগ করতে হয়নি।ধাওয়াও করতে হয়নি কাউকে।যাঁরা গ্রেফতার হন, তাঁরা শান্তভাবেই ভ্যানে ওঠেন।সামান্যতম ধাক্কাধাক্কিও হয়নি।ঘন্টাখানেক পরে ধৃতদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। অথচ ফেসবুকে জনৈক গৌতম রায় এক রক্তাক্ত যুবকের ছবি পোস্ট করে দাবি করেছেন, পুলিশ নাকি আজকের সভায় অংশগ্রহণকারী ওই যুবকের মাথা লাঠি দিয়ে মেরে ফাটিয়ে দিয়েছে। সর্বৈব মিথ্যা কথা।লাঠিচার্জ তো দূরস্থান, আবার লিখছি, গ্রেফতার-প্রক্রিয়ায় সচরাচর যে ধাক্কাধাক্কি-টানাহ্যাঁচড়া হয়ে থাকে, সেটুকুও সেভাবে হয়নি আজ।প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রচুর প্রতিনিধিও ঘটনাস্থলে ছিলেন।পুলিশের ' লাঠিচার্জ'-এর কোন ছবি তাঁদের ক্যামেরাতেও ধরা পড়েনি।এমন কিছু ঘটলে ক্যামেরায় ধরা পড়তই, এবং চ্যানেলে চ্যানেলে সে দৃশ্য এর মধ্যে হাজারবার প্রচারিত হয়ে যেত। পুরনো ছবি বা অন্য কোন জায়গার অন্য কোন ঘটনার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব আমরা। কারণ, যেটা মিথ্যে, সেটা মিথ্যেই। বিভ্রান্তিমূলক ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দিলাম।সঙ্গে দিলাম বাস্তবের গ্রেফতার-প্রক্রিয়ার তিনটি ছবি।" গৌতম রায় অবশ্য পোস্টটি ডিলিট করে দিয়েছেন। কিন্তু কিছু ব্যেক্তি ছবিটি সোশ্যাল মিদিয়াতে এখন শেয়ার করছেন। টুইটের ইউজার দিব্যেন্দু দাস টুইট করে "They only want Equal Pay for Equal Work as per the SC order, want Regularisation and training facility for the teachers but Mamata's Police attacks the para teachers of Bengal for demonstrating peacefully at Lenin's statue Dharmatala, Kolkata, Shame."