২০১৩ সালে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতিতে অভিযুক্তের ছবি ভুয়ো দাবিতে ছড়াল
মুম্বই পুলিশ ২০১৩ সালে ভোজপুরি অভিনেতা ইরফান খান ও তার বন্ধু সঞ্জয় যাদবকে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির জন্য গ্রেফতার করেছিল।
২০১৩ সালের এক অপরাধের ঘটনায় দুই ব্যক্তির গ্রেফতারির ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো দাবিতে ছড়ানো হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, পেশায় নাপিত (Muslim barber) ওই দুই ব্যক্তি চুল কাটতে আসা হিন্দু ব্যক্তিদের দেহে এইডস (AIDS infected) সংক্রমিত ব্লেড (HIV razor) ব্যবহার করে সংক্রমিত করছেন।
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ছবিটি ২০১৩ সালে গ্রেফতার হওয়া ভোজপুরি অভিনেতা মহম্মদ ইরফান ও তার বন্ধু সঞ্জয় যাদব। ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি ও প্রতারণা অভিযোগে মুম্বই পুলিশ তাদের বিহারের ছাপড়া থেকে গ্রেফতার করে।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে দুই ব্যক্তিকে দেখা যায়।
ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, “ব্রেকিং নিউজ... মুম্বাই নাপিত জিহাদ**** একজন মোল্লা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে মসজিদে নাপিত জিহাদের জন্য অর্থ পাওয়া যায়। যেখানে হিন্দুদের এইডসের ব্লেড দিয়ে সামান্য ছেদ মারতে শেখানো হয়। এবং অভ্যন্তরীণ যুদ্ধের জন্য আরও বেশি সংখ্যক ছেলেদের প্রস্তুত করা হচ্ছে। সমস্ত কাছের লোকদের বলতে হবে যে শুধুমাত্র একজন হিন্দু নাপিতকে বাঁচানো এবং কাটা করা উচিত।”
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটিকে রিভার্স সার্চ করে ইন্ডিয়া টিভিতে ১৮ জুলাই ২০১৩ প্রকাশিত প্রতিবদেন ভাইরাল ছবিটি দেখতে পায়। ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম, “মুম্বই পুলিশের হাতে ক্রেডিট কার্ড প্রতারণা, জালিয়াতির ঘটনায় ভোজপুরি অভিনেতা ইরফান খান গ্রেফতার।”
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী মুম্বই পুলিশ বিহারের ছাপড়া জেলা থেকে ভোজপুরি অভিনেতা ইরফান খান ও তার বন্ধু সঞ্জয় যাদবকে গ্রেফতার করে। তাদের থেকে ৩০ টি ক্রেডিট কার্ড, সোনার গহনা, ১৭টি চেক ও বিলবই উদ্ধার করা হয়। আম্বলির এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। ইউটিউবে থাকা ইন্ডিয়া টিভির রিপোর্ট দেখুন এখানে।
বিষয়টি নিয়ে ১৮ জুলাই ২০১৩ এবিপি নিউজও রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল।
বুম হিন্দির তরফে মুম্বই পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক প্রশান্ত কদমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে নাপিত জেহাদ ব্যাপারে কোনও খবর অস্বীকার করেন। বুম হিন্দি ছবিটি প্রথম তথ্য-যাচাই করেছে।
রাষ্ট্রসংঘের এইডস/এইচআইভি প্রতিরোধ কর্মসূচির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে কোনও জীবাণুমুক্ত না করা ছুরি ক্ষুর থেকে এইচআইভি সংক্রমিত হতে পারে। সেকারণে একবার ব্যবহারযোগ্য ব্লেড ও ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।