সংঘর্ষ বিরতিতেও প্যালেস্তাইনি যুবক গ্রেফতার বলে ছড়াল ২০১৪ সালের ছবি
বুম দেখে ভাইরাল ছবিটি ২০১৪ সালে এক ইজরায়েলি পুলিশের উপর গুলি চালনোর ঘটনায় সন্দেহভাজন এক প্যালেস্তাইনির গ্রেফতারের ঘটনা।
২০১৪ সালে এক ইজরায়েলি পুলিশ আধিকারিককে গুলি করার অপরাধে সন্দেহভাজন প্যালেস্তাইনিদের ধরে নিয়ে যাওয়ার পুরনো ছবিকে সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যে করে শেয়ার করা হল যুদ্ধবিরতির (Ceasefire) পরেও প্যালেস্তাইনি (Palestinians) যুবকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী (Israeli Army)।
১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর মিশরের মধ্যস্থতায় মে মাসে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইজরায়েল ও প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি সংগঠন হামাস। ভয়াবহ সেই সংঘর্ষে ২৪৩ জন মারা যায়, যাদের বেশিরভাগ গাজার বাসিন্দা। ইজারায়েল-এমারা যায় ১২ জন। প্যালেস্তাইনি সূত্র উদ্ধৃত করে বিবিসি সংবাদ প্রকাশ করেছে অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে তল্লাশির সময় ইজরায়েলের বিশেষ বাহিনীর হাতে মৃত্যু হয়েছে দু'জন প্যালেস্তাইনি গোয়েন্দা আধিকারিকের।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা যায় চোখে পট্টি বেঁধে পিছেমোড়া করে বেঁধে এক যুবককে ধরে নিয়ে যাচ্ছে দুই সেনাকর্মী। ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়, "যুদ্ধ বিরতির পরেও ফিলিস্তিনের যুবকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল বাহিনী"।
পোস্টটিকে দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে বিজেপি নেতাকে মারধরের পুরনো ছবি বিভ্রান্তিকর দাবিতে ছড়াল
তথ্য যাচাই
বুম রিভার্স সার্চ করে ২০১৪ সালে প্রকাশিত আল জাজিরা আরবির এক প্রতিবেদনে ছবিটিকে খুঁজে পায়।
ছবির ক্যাপশনটি গুগলে ট্রান্সলেটর-এ অনুবাদ করে দেখা যায় ছবিটির সূত্র হিসেবে গেট্টি ইমেজেস ও ফরাসি সংবাদ সংস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এই সূত্র ধরে আমরা গেটি ইমেজেস ওয়েবসাইটে মূল ছবিটি খুঁজে পেয়েছি। ছবিটির ক্যাপশন হিসেবে লেখা হয়েছে, "২৪ এপ্রিল ২০১৪ ইজরায়েলের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা সন্দেহভাজন প্যালেস্তানীয়দের গ্রেফতার করল। দোষীদের ধরতে আগের সপ্তাহে হেব্রনের দক্ষিণ ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক শহরের কাছে একজন ইজরায়েলি পুলিশ আধিকারিকের উপর হওয়া গুলি চালানোর ঘটনায় ডের সামেট গ্রামে তল্লাশি শুরু হয়। ইহুদি ধর্মীয় অনুষ্ঠান পাশওভারের ছুটির শুরুতে একজন ইজরায়েলির উপর এই মারণ হামলা হল বছরের শুরু থেকেই অধিকৃত হওয়া ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে। আমেরিকার শান্তি আলোচনা প্রায় ভেস্তে যাওয়ার পর জায়গাটিতে উত্তেজনা চলছে। এএফপি ফোটো। হাজেম বাদের।"
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনা মোকাবিলায় রাষ্ট্রসংঘের শান্তি পুরস্কার পেল? একটি তথ্য যাচাই