পুণের মসজিদকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র করার পুরনো ছবি ওখলার বলে ভাইরাল
বুম দেখে ভাইরাল ছবি দুটি পুণেতে আজম ক্যাম্পাসের এক মসজিদকে ২০২০ সালে এপ্রিলে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার ছবি।
২০২০ সালে মহারাষ্ট্রের পুণের (Pune) এক মসজিদকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার ছবি দিল্লির ওখলার (Okhla) মসজিদকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হল বলে দাবি করা হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়।
বুম দেখে ভাইরাল ছবি দুটি পুণের শিক্ষাকেন্দ্র আজম ক্যাম্পাসের এক মসজিদকে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার ছবি।
কোরোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি দিল্লির অবস্থা আরও কিছুটা উদ্বেগের। গত কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অক্সিজেন সংকটের প্রকাশিত হয়েছে। করোনার লাগামছাড়া সংক্রমণ ও সংকটজনক রোগী বৃদ্ধির ফলে এখনও অক্সিজেনের জোগান স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি বেশ কিছু হাসপাতালে। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত সপ্তাহে দিল্লির ওখলা, বাতালা হাউস ও জাকির নগর সহ বেশ কিছু মসজিদের ইমাম মসজিদের ঘর ও চত্ত্বরেকে রূপান্তরিত করে কোয়রান্টিন কেন্দ্র এবং কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য অস্থায়ী ছোট ছোট কোভিড চিকিৎসাকেন্দ্র খোলার আবেদন জনান। ফেসবুকে ছবিদুটি এই প্রেক্ষিতেই শেয়ার করা হচ্ছে।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবি দুটিতে দেখা যায় হলঘরে প্রার্থনার মাদুরের উপর নীল রঙের বেডিং পাতছেন কয়েকজন ব্যক্তি। ওই ফেসবুক পোস্ট গুলিতে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "জামাতে ইসলামি কম্পাউন্ড ওখলা। মসজিদের ভেতরে ব্যবস্থা করা হলো বিনামূল্যে অক্সিজেন বেডের। এমন প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। রোগীর কোনদিন ধর্ম হয় না, আয় ভাই তোরা আর বিজেপির কথা শুনে জাত খুঁজিস না। আমরা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতবাসীর সেবা করি।"
একই ক্যাপশন সহ ছবিদুটি ফেসবুকে বেশ ভাইরাল হয়েছে।
তথ্য যাচাই
বুম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখে কোয়রান্টিন কেন্দ্রের ছবিটি দিল্লির ওখলার কোনও মসজিদের নয়।
ছবি দুটি মহারাষ্টের পুণের শিক্ষাকেন্দ্র আজম ক্যাম্পাসের এক মসজিদের। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে মসজিদটিকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়।
বুম দেখে ২৭ এপ্রিল ২০২০ একজন টুইটার ব্যবহারকারী মসজিদটিকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রূপান্তর করার ৪ টি ছবি পোস্ট করে।
বিষয়টি নিয়ে ২৭শে এপ্রিল ২০২০ হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রথম গোখলে ওই ছবি তোলেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদককে আজম ক্যাম্পাসের পরিচালক ট্রাস্ট মহারাষ্ট্র কসমোপলিটন এ্যান্ড এডুকেশন সোসাইটির চেয়ারম্যান পিএ ইনামদার বলেন ৯০০০ বর্গ ফুটের একটি মসজিদের একতলার হলঘরকে ৮০ টি বেডের একটি কোয়ারান্টিন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা পরিকল্পনার প্রস্তাব দেবেন তাঁরা জেলা প্রশাসনকে।
পুণের জেলা শাসক নবাল কিশোর ওই প্রতিবেদককে জানান, "আজাম ক্যাম্পাস কর্তৃপক্ষের ওই প্রস্তাব ভেবে দেখা হবে। আমরা আরও বড় জায়গা খুঁজছি। সবকিছু ক্ষতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"