ভুয়ো দাবিসহ শুভেন্দু অধিকারী ও নওশাদ সিদ্দিকীর সম্পাদিত ছবি ভাইরাল
বুম যাচাই করে দেখে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে থাকা বায়রন বিশ্বাসের জায়গায় নওশাদ সিদ্দিকীর ছবি সম্পাদনা করে যোগ করা হয়েছে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) সাথে আইএসএফ (ISF) নেতা নওশাদ সিদ্দিকী নিজস্বী তুলছেন দাবি করে সম্প্রতি এক ছবি ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল ওই পোস্টে ছবিটি তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপি (BJP) এবং আইএসএফ আঁতাতের কথা উল্লেখ করা হয়।
বুম দেখে ছবিটি সম্পাদিত এবং আসল ছবিতে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে দাঁড়িয়ে ছিলেন তৃণমূল নেতা বায়রন বিশ্বাস যার জায়গায় ডিজিটাল উপায়ে নওশাদ সিদ্দিকীর ছবি বসিয়ে দেওয়া হয়।
ছবিটির ক্যাপশন হিসাবে লেখা হয়,"অলরেডি ওদের সকল পরিকল্পনা শেষ। পুরো মুসলিম জাতিকে দাঙ্গাবাজদের পায়ের নীচে ফেলে পিষে ফেলার মূল কারিগর শুভেন্দু অধিকারী এবং তার সহযোগী যোদ্ধা নওশাদ সিদ্দিকী সেলফি তুলে সেটাই জানিয়ে দিচ্ছে। মনিপুর জ্বলছে অলরেডি হরিয়ানা শুরু হয়ে গেছে। নওশাদ সিদ্দিকী তুমি যে খেলা শুরু করেছো এর শেষ ২০২৪ লোকসভা সাধারণ মানুষ তোমাদের পায়ের তলায় পিষে শেষ করে দেবে এটা তুমি মাথায় রেখো আজকে নতুন দল তৈরি করে গোটা বাংলার মুসলমানকে স্তব্ধ করতে চাইছো বাংলার উন্নয়নকে নষ্ট করতে চাইছো বাংলার মুসলমানের কতটা ক্ষতিকারক সেটা সংখ্যালঘু মানুষ বুঝে গেছে সাধারণ মানুষ এর জবাব ২০২৪ এ দেবে।"
পোস্টের লিংক আপনারা দেখতে পাবেন এখানে।
এই পোস্টের আর্কাইভ দেখা যাবে এখানে।
এই ছবি অন্যান্য দাবির সাথেও ছড়িয়েছে যার লিংক আপনারা দেখতে পাবেন এখানে। পোস্টটির আর্কাইভ আপনারা দেখতে পাবেন এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম প্রথমেই দেখতে পায় ভাইরাল ছবিটির এক অংশে ডিজিটাল উপায়ে আঁকাবুঁকি করা রয়েছে। এর থেকে সন্দেহ হওয়ায় আমরা ছবিটিকে রিভার্স সার্চ করে আসল ছবিটি সাগরদীঘির তৃণমূল নেতা বায়রন বিশ্বাসের টুইটার অ্যাকাউন্টে খুঁজে পাই।
বায়রন তার নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্টে আসল ছবিটি ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর পোস্ট করেন। এই ছবিটির সাথে ভাবে মিলে যাচ্ছে ভাইরাল ছবিতে দেখতে পাওয়া শুভেন্দু অধিকারীর পোশাক, পটভূমিতে থাকা দেওয়ালের রং এবং ঘরের আলোকসজ্জা সম্পূর্ণভাবে মিলে যায়। এই ছবিতে শুভেন্দু দাঁড়িয়ে সাগরদীঘির তৃণমূল নেতা বায়রন বিশ্বাসের সাথে।
ছবিটি পোস্ট করার সময় বর্তমানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিলেন এবং পরিবহন মন্ত্রীর পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।
টুইটটির লিংক আপনারা দেখতে পাবেন এখানে।
এছাড়া আমরা ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, তারিখে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে আসল ছবিটিকে খুঁজে পাই। ভাইরাল ছবির সাথে আসল ছবির তুলনা নিচে দেখতে পাওয়া যাবে।