রামায়ণের 'সুগ্রীব'-এর নামে ইন্দোনেশিয়ায় দীনপাসার হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়?
বুম দেখে রামায়ণের ‘সুগ্রীব’ নয়, হিন্দু ধর্মগুরু আই গুস্টি বাগুস সুগ্রীবার নামে ইন্দোনেশিয়ায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্টে বিভ্রান্তকর দাবি করা হয়েছে মহাকাব্য রামায়ণের চরিত্র ও কিস্কিন্ধার অধিপতি 'সুগ্রীব'-এর (Sugriva) নামে মুসলীম প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়া (Indonesia) হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় (Hindu University) চালু করেছে।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পোস্টে ২ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ওই ভিডিওর বর্ণনার সারমর্ম হল, "মুসলিম প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ার বালি রাজ্যে ভগবান শ্রী রামের বন্ধু ও কিস্কিন্ধার অধিপতি সুগ্রীবের নামে প্রথম হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে।"
ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় "সুগ্রীব" চালু হলো, ধন্যবাদ ইন্দোনেশিয়াকে"
ফেসবুক পোস্টটি দেখা যাবে এখানে।
বুম দেখে আরেকটি ফেসবুক পোস্টে একই দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'এমআইএম-কে ভোট দিন', শাহরুখ খানের টি-শার্ট সম্পাদিত
তথ্য যাচাই
বুম আই গুস্টি বাগুস সুগ্রীবা দীনপসার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবাসাইটে, বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত পরিচয়ের পেজ পড়ে দেখে। ওই বর্ণনাতে লেখা নেই যে রামায়ণের চরিত্র 'সুগ্রীবের' নাম অনুসারে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে।
আই গুস্টি বাগুস সুগ্রীবা ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম ধর্মগুরু যিনি হিন্দু সংস্কৃতি, আধ্যত্মিক ও শিক্ষা আন্দোলন শুরু করেন।
হিন্দু ধর্ম ইনস্টিটিউট দীনপসার-এর নাম বদলে আই গুস্টি বাগুস সুগ্রীবা দীপপসার বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো জোকায় উদিদো আইন প্রণয়ন করে এই বদল আনেন, ৩১ জানুয়ারি ২০২০ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বালি পোস্ট। এব্যাপারে জাকার্তা পোস্টের প্রতিবেদন পড়া যাবে এখানে।
২০০৪ সালের ৮ নভেম্বর আইন পাশ করে ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম বদল করে হিন্দু ধর্ম ইনস্টিটিউট দীনপসার রাখা হয়েছিল, যা ২০০৫ সালের ২৩ মার্চ নতুন করে উদ্বোধন করা হয়।
বালি পোস্টের ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে ২০২৩ সালে আই গুস্টি বাগুস সুগ্রীবা দীনপসার বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের গড়ে তোলা হবে ২০২৩ সালের মধ্যে একথা জানান ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম মন্ত্রকের হিন্দু কমিউনিটি গাইডেন্সের ডিরেক্টর জেলারেল ত্রি হান্ডাকো সেটো।
আরও পড়ুন: ১৯৮৩ সালের সিনেমার দৃশ্য ছড়াল সাংবাদিকের তোলা সাভারকরের বিরল ভিডিও বলে