BOOM

Trending Searches

    BOOM

    Trending News

      • ফ্যাক্ট চেক
      • বিশ্লেষণ
      • ফাস্ট চেক
      • আইন
      • Home-icon
        Home
      • Authors-icon
        Authors
      • Contact Us-icon
        Contact Us
      • Methodology-icon
        Methodology
      • Correction Policy-icon
        Correction Policy
      • ফ্যাক্ট চেক-icon
        ফ্যাক্ট চেক
      • বিশ্লেষণ-icon
        বিশ্লেষণ
      • ফাস্ট চেক-icon
        ফাস্ট চেক
      • আইন-icon
        আইন
      Trending Tags
      TRENDING
      • #Mamata Banerjee
      • #Narendra Modi
      • #Operation Sindoor
      • #Pahalgam Terrorist Attack
      • #Rahul Gandhi
      • Home
      • ফ্যাক্ট চেক
      • বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী...
      ফ্যাক্ট চেক

      বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামে ভুয়ো উক্তি ভাইরাল

      বুমকে বিএনপির সংবাদ শাখা জানায় খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বা অন্য সময়েও এই ধরণের কোনও মন্তব্য করেননি।

      By - Srijit Das |
      Published -  29 Aug 2021 12:39 PM IST
    • বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামে ভুয়ো উক্তি ভাইরাল

      বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia)নামে একটি ভুয়ো সাম্প্রদায়িক উদ্ধৃতির স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। Khabar24X7.com নামে একটি ওয়েবসাইট থেকে এই উদ্ধৃতিটি শেয়ার করা হয়েছে এবং উদ্ধৃতিটি খালেদা জিয়ার বলে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে। ওই উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে যে,বাংলাদেশের ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, বাংলাদেশ একটি ইসলামিক দেশ এবং সেখানে থাকতে হলে বাংলাদেশের হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে হবে।

      বুম এই বিষয়ে কোনও নির্ভরযোগ্য সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে কিনা, তা খুঁজতে থাকে, এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির সংবাদ শাখার সদস্য সায়রুল কবীর খানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় বা অন্য কখনও এ ধরনের কোনও মন্তব্য করেননি বলেই জানান কবীর।

      ওই উদ্ধৃতিতে লেখা হয়েছে, "বাংলাদেশে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের উপর যেসব আক্রমণ হচ্ছে, আমি তার নিন্দা করি। কিন্তু বাংলাদেশ একটি ইসলামিক রাষ্ট্র, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র নয়। মুসলিমরা এখানে সংখ্যাগুরু। এই পরিস্থিতিতে যদি হিন্দু এবং বৌদ্ধরা বাংলাদেশে নিরাপদে থাকতে চান, তবে তাঁদের ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে হবে অথবা ভারতে চলে যেতে হবে।"

      স্ক্রিনশটের উপর 'এই কারনেই সিএএ' কথাটি এডিট করে লেখা হয়েছে।

      আফগানিস্তানে তালিবানরা ক্ষমতা দখল করার বহু আফগান নাগরিকতালিবানি শাসন থেকে নিষ্কৃতি পেতে ভারত সহ অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই ছবিটি ভাইরাল হয়েছে।ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-এর ফলে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ আফগানিস্তান থেকে যেসব আফগান ভারতে আসছেন,তাঁদের ভারতে আশ্রয় পেতে কী ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা নিয়ে বহু চিন্তাবিদ প্রশ্ন তুলেছেন।ধর্মের ভিত্তিতে ভারতিয় নাগরিকত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকারসিএএ আইন পাশ করে। এই আইন অনুসারে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, যদি তাঁরা ধর্মে মুসলিম না হন

      এই পরিপ্রেক্ষিতে নেটিজেনরা জিয়ার এই ভুয়ো মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে ভারতের সিএএ তুলনা করেছেন। ফেসবুক পোস্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন।


      বুম তার হোয়াটসঅ্যাপ টিপলাইনে এই মন্তব্যটি যাচাইয়ের জন্য পায়।


      আরও পড়ুন: নিউজ১৮ বাংলা, জি ২৪ ঘন্টা কাবুলে জঙ্গি হানা বলে দেখাল অন্য ছবি ও ভিডিও

      তথ্য যাচাই

      বুম গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করে এবং খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় এরকম কোনও মন্তব্য করা বিষয়ে কোনও নির্ভরযোগ্য সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পায়নি। খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তাঁর আন্তর্জাতিক পরিচিতি রয়েছে।তিনি যদি এরকম কোনও মন্তব্য করে থাকেন, তবে তা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংবাদমাধ্যমে অবশ্যই প্রকাশিত হত।

      যেহেতু ভাইরাল হওয়া মন্তব্যটি তাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নামে উদ্ধৃত হয়েছে,বুম তাই বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করে।

      বিএনপির সংবাদ শাখার সদস্য সায়রুল কবীর খান বুমকে বলেন, "খালেদা জিয়া এরকম কোনও মন্তব্য করেননি। গুজরাত দাঙ্গার সময় তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। সেসময় দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি সবরকম পদক্ষেপ করেছিলেন। বিএনপি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে, এবং পার্টির সংবিধান তা নিশ্চিত করে।"

      এছাড়া ওই স্ক্রিনশটে খালেদা জিয়াকে বাংলা ন্যাশনাল পার্টির প্রেসিডেন্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু তিনি আসলে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির চেয়ারপার্সন এবং 'বাংলা ন্যাশনাল পার্টি' নামের কোনও দলের প্রেসিডেন্ট নন।

      অতীতে শেখ হাসিনা সরকার অভিযোগ তুলেছে যে, খালেদা জিয়া এবং তাঁর দল মুসলিম মৌলবাদীদের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন। কিন্তু, বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে, ২০১৬ সালে ইসলামিক স্টেট এক হিন্দু পুরোহিতকে হত্যা করলে খালেদা জিয়ার দল তার তীব্র নিন্দা করে। রয়টার্স-এর একটি প্রতিবেদনে জিয়াকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়, "আমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক মানুষকেহত্যা করার তীব্র নিন্দা করছি। তাঁরাও এই দেশের শান্তিপ্রিয় নাগরিক, এবং এদেশে থাকার পূর্ণ অধিকার তাঁদের রয়েছে।"

      Khabar24x7.com-এর কোনও অস্তিত্ব এখন খুঁজে পাওয়া যায়নি

      Khabar24x7.com নামের পেজ এই ভুয়ো উদ্ধৃতি দিয়ে ২০১৫ সালে একটি ফেসবুক পোস্ট করে। বুম সেই আসল পোস্টটি খুঁজে পায়। Khabar24x7.com'র ফেসবুক পেজের অ্যাবাউট সেকশনে লেখা হয়, "আমরা প্রতিটি পেড নিউজের পিছনের আসল খবরটি আপানাদের জানাই। www.khabar24x7.com এ যোগ দিন এবং আপনার বাড়ির টেলিভিশনে চলা প্রতিটি পেড নিউজ সম্পর্কে বিশদে জানুন।" এই পেজটি ২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তৈরি করা হয়েছিল।

      ভাইরাল হওয়া ছবি এবং Khabar24x7.com ফেসবুক পেজের দেওয়া ছবির স্ক্রিনশটের তুলনা

      ওই অংশে Khabar24x7.com-এর ডোমেন অ্যাড্রেসও দেওয়া হয়। আমরা ওই অ্যাড্রেসে ক্লিক করি এবং Wix.com নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরির সাইটে পৌঁছাই। 'এই ডোমেন এখনও কোনও ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত হয়নি' লেখা একটি মেসেজ দেখতে পাওয়া যায়।

      Khabar24x7.com'র ডোমেন স্ট্যাটাস

      ডোমেন বিগ ডাটার (https://archive.ph/WvvmO) তথ্য অনুসারে Khabar24x7.com ২০১৪ সালে তৈরি হয়েছিল, এবং শেষবার Wix.com এ হোস্ট করা হয়েছিল।

      (অতিরিক্ত রিপোর্টিং মিনাজ আমান, বুম বাংলাদেশ)

      আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ছড়াল আনন্দবাজারের সম্পর্কহীন লেখার শিরোনাম

      Tags

      Fake NewsFact CheckKhaleda ZiaPrime MinisterBangladesh
      Read Full Article
      Claim :   বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, \"হিন্দু এবং বৌদ্ধরা যদি বাঁচতে চান তাহলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে কিংবা ভারতে চলে যেতে হবে\"
      Claimed By :  Social Media Users
      Fact Check :  False
      Next Story
      Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors.
      Please consider supporting us by disabling your ad blocker. Please reload after ad blocker is disabled.
      X
      Or, Subscribe to receive latest news via email
      Subscribed Successfully...
      Copy HTMLHTML is copied!
      There's no data to copy!