ভুয়ো দাবি: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বিশ্বের সেরা জাতীয় সঙ্গীত ঘোষণা করল ইউনেস্কো
বুম দেখে ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় সঙ্গীত সম্পর্কে ভুয়ো দাবিটি ছড়াচ্ছে নেট মাধ্যমে। ইউনেস্কো সেরা 'জাতীয় সঙ্গীত' ঘোষণা করেনি।
ইউনেস্কো (UNESCO) তথা জাতি সংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ভারতের জাতীয় সঙ্গীত 'জন-গণ-মন'কে বিশ্বের সেরা জাতীয় সংগীতের (National Anthem) তকমা দিয়েছে দাবি করে এক গ্রাফিক ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
বুম যাচাই করে দেখে ভারতের জাতীয় সঙ্গীতকে ইউনেস্কো বিশ্বের সেরা জাতীয় সঙ্গীত ঘোষণা করেছে ভাইরাল এই দাবিটি ভুয়ো। ২০০৮ সালে এই বিষয়ে ইউনেস্কোর তরফে জানানো হয় তারা কোনও দেশের জাতীয় সঙ্গীত সম্পর্কেই এরকম কোনও ঘোষণা করেনি।
ভাইরাল ওই ছবিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের এক ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লেখা হয়, "একজন ভারতীয় হিসেবে আমি গর্বিত আমাদের জাতীয় সঙ্গীত " জন গন মন অধিনায়ক জয় হে"-কে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে ঘােষণা করলাে UNESCO"।
প্রসঙ্গত, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথমে বাংলায় 'জন-গণ-মন' গানটি রচনা করেন। এরপর ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করলে ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি দেশের সংবিধান সভায় 'জন-গণ-মন'র হিন্দি সংস্করণ ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা পায়।
নিচে সেই পোস্টকে দেখতে পাওয়া যাবে।
পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের সাজা ফাঁসি, রাষ্ট্রপতির ভাষণের ভিডিও বিভ্রান্তি সহ ফের ভাইরাল
তথ্য যাচাই
বুম ভাইরাল এই দাবির সত্যতা জানতে ইন্টারনেটে প্রাসঙ্গিক কিছু শব্দ বসিয়ে কীওয়ার্ড সার্চ করে। কীওয়ার্ড সার্চ করে দেখতে পাওয়া যায় ২০০৮ সাল থেকেই ভুয়ো এই দাবি ছড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়।
বিষয়টি নিয়ে আমরা ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদন খুঁজে পাই।
ইন্ডিয়া টুডের তরফে ভাইরাল এই দাবির সত্যতা বিষয়ে জানতে ইউনেস্কোর কাছে ই-মেইল করা হলে তৎকালীন সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের প্রধান সূএ উইলিয়ামস এই দাবি খণ্ডন করেন।
উইলিয়ামস বলেন, "আমরা ভারতের বেশ কয়েকটি ব্লগে এই বিষয়টি রিপোর্ট করার বিষয়ে অবহিত, কিন্তু আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে ইউনেস্কো ভারত বা কোনো দেশের সঙ্গীত সম্পর্কে এমন কোনো ঘোষণা করেনি।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'ভারত ভাগ্য বিধাতা' বাংলায় লেখা কবিতার প্রথম স্তবক স্বাধীনতার পর ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধান সভায় জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে মর্যাদা পায়।
আরও পড়ুন: পুরনো ভিডিও ছড়িয়ে দাবি ত্রিপুরায় সাম্প্রতিক মুসলিম-বিরোধী মিছিল