মানেকা গাঁধী নয়, বিজেপিকে তুলোধনার এই ভিডিওটি এক কংগ্রেস নেত্রীর
বুম দেখে কংগ্রেস সদস্যা ডলি শর্মা কোভিড-১৯ সঙ্কট মোকাবিলায় বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে শাসক দলের সমালোচনা করেন।
ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party) সাংসদ মানেকা গাঁধী (Maneka Gandhi) তাঁর নিজের পার্টিকে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) তুলোধনা করেছেন, এই মিথ্যে দাবি সমেত ভাইরাল হয়েছে গাজিয়াবাদের এক কংগ্রেস (Congress) নেত্রী ডলি শর্মার (Dolly Sharma) ভিডিও।
৩.৩১ মিনিটের ক্লিপটি ২২ মিনিটের একটি বড় ভিডিও থেকে নেওয়া। তাতে কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে থাকায়, শর্মাকে ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়।এবং অতিমারি ঠেকানর বদলে নির্বাচন প্রচারকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য মোদী ও শাহকে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করান। ভিডিওটিতে তিনি ক্ষমতাসীন পার্টিকে, যারা সাধারণ মানুষের চাহিদার দিকে নজর দিচ্ছে না, তাদের স্বার্থান্বেষী বলে অভিযুক্ত করেন।
ভিডিওটি একটি হিন্দি ক্যাপশন সমেত শেয়ার করা হচ্ছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, এই অভিযোগগুলি করছেন মানেকা গাঁধী। ক্যাপশনটিতে বলার চেষ্টা করা হয়েছে যে, উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের সাংসদ মানেক গাঁধী তাঁর নিজের পার্টির বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। "বিজেপি সাংসদ শ্রদ্ধেয় শ্রীমতী মানেকা গাঁধীর হৃদয়ের কথা শুনুন," বলা হয়েছে ক্যাপশনে।
ভিডিওটি ফেসবুক ও টুইটারে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রামদেবের সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণের এইমস-এ ভর্তির পুরনো ছবি মিথ্যে দাবিতে ছড়াল
তথ্য-যাচাই
ওই ভাইরাল পোস্টগুলিতে আমরা একাধিক মন্তব্য দেখতে পাই যাতে বলা হয় যে, ভিডিওটি হল কংগ্রেস নেত্রী ডলি শর্মার। আরও বলা হয় যে, ২০১৯-এর নির্বাচনে ওই লোকসভা কেন্দ্র থেকে ডলি শর্মা ছিলেন কনিষ্ঠতম প্রার্থী।
শর্মার নাম দিয়ে ফেসবুকে সার্চ করলে দেখা যায়, তিনি ওই ভিডিওটি তাঁর যাচাই করা ফেসবুক পেজে ২০ এপ্রিল আপলোড করেন। তাঁর আপলোড করা ভিডিওটির সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে গাজিয়াবাদের বাসিন্দাদের পরস্পর এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে সহযোগিতা করার অুনরোধ জানান।
ভাইরাল ভিডিওটিতে যে অংশটি দেখা যাচ্ছে, সেটি তাঁর আপলোড করা ভিডিওটির ১৪.২৪ মিনিটের মাথায় দেখা যায়।
তাঁর ভিডিওতে শর্মা অভিযোগ করেন যে, সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি নম্বরের তালিকা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে অভিযোগ পাচ্ছেন যে, ওই নম্বরগুলিতে ফোন করলে কোনও সাড়া মিলছে না। উনি গাজিয়াবাদে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের ওপর আলোকপাত করেন এবং অভিযোগ করেন যে, তাঁর কেন্দ্রের মানুষজনের আবেদন-নিবেদন উপেক্ষা করছেন জেলা শাসক।
২০১৯-এ, শর্মা লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কিন্তু জেনারেল (আবসরপ্রাপ্ত) ভি কে সিংহর কাছে হেরে যান। শর্মা তাঁর ফেসবুক ও টুইটারে নিজের আত্মপরিচয়ে লেখেন তিনি একজন কংগ্রেস সদস্য।
আরও পড়ুন: না, লুক মন্ট্যানিয়ের বলেননি কোভিড টিকা নিলে দু'বছরের মধ্যে মারা যাবেন