ভাঙা মসজিদের বাইরে প্যালেস্তাইনিদের প্রার্থনা করার এই ছবিটি ২০১৪ সালের
বুম যাচাই করে দেখে ২০১৪ সালের ১৫ অগস্ট ইজরায়েলি সেনার হামলায় গাজায় এই মসজিদটি ভেঙে পড়ে। তখন নামাজ পড়ছিলেন ধার্মিকরা।
২০১৪ সালে প্যালেস্তাইনের গাজায় ভাঙা মসজিদের বাইরে প্রার্থনা করার ছবিকে সোশাল মিডিয়ায় সাম্প্রতিক ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের (Israel-Palestine Conflict) যুদ্ধের ঘটনা বলে দাবি করা হচ্ছে।
মে মাসে রমাজানের শেষ শুক্রবার প্যালেস্তাইনের পুলিশ আল-আকসা মসজিদ চত্ত্বরে রাবার বুলেট ও গ্রেনেড ছোঁড়ে প্যালেস্তাইনিদের ছোড়া পাথর ও বোতলের মোকাবিলায়। পরে ওই সংঘর্ষ রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। ১৬৩ জন প্যালেস্তানি আহত হয়, জখম হন ৬ জন ইজরায়েলি পুলিশ আধিকারিক। পরে ইজারায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধে প্যালেস্তাইনের। এখনও পর্যন্ত প্যালেস্তাইনে মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের আর ১২ জন ইজরায়েলির মৃত্যু হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে ভাঙা মসজিদের বাইরে রাস্তায় ও বাড়ির রোয়াকে প্রার্থনা করতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন মানুষকে।
ছবিটি শেয়ার করে ফেসবুকে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "তোমরা মসজিদ ভাঙতে পারলেও তাদের ঈমান এক বিন্দুও বিনষ্ট করতে পারবে না৷ স্যালুট_ফিলিস্তিনিদের"।
পোস্টটিকে এখানে দেখতে পাবেন। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
আরও পড়ুন: সিরিঞ্চে চাপ না দিয়েই টিকা, বিভ্রান্তিকর দাবিতে ভাইরাল ইকুয়েডরের ভিডিও
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ছবিটি সাম্প্রতিক ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের সংঘর্ষের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
বুম রিভার্স সার্চ করে ছবিটিকে ১৬ অগস্ট ২০১৪ প্রকাশিত এনবিসি নিউজের একটি প্রতিবেদনে দেখতে পায়। ছবির সূত্র হিসেবে সংবাদ সংস্থা রয়টর্সের নাম থাকায় বুম রয়টর্স পিকচার্স-এ ছবিটির খোঁজ করে।
রয়টর্স পিকচার্স-এ ছবিটির ক্যাপশন হিসেবে লেখা হয়েছিল, "প্যালেস্তাইনিরা শুক্রবার একটি মসজিদের সামনে প্রার্থনা করছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি ৫-দিনের যুদ্ধ বিরতি চলার সময় ২০১৪ সালের ১৫ অগস্ট নিয়মভঙ্গ করে গাজা শহরে বায়ু পথে আক্রমণ করে। মঙ্গলবার থেকে পর পর দু'বার সমঝোতা চুক্তি এবং আরও একবার ১৯ অগস্ট সমঝোতা হওয়ার কথা। ১,৯৪৫ জনের প্যালেস্তাইনি যার অধিকাংশ সাধারণ নাগরিক, ৬৪ জন সেনা ও ৩ জন ইজরায়েলের নাগরিকের মত্যুর পর প্রায় অনেকেই বন্দুক ছেড়েছে।"
রয়টর্সের তরফে ছবিটি তোলেন চিত্রসাংবাদিক মহম্মদ সালেম।
আরও পড়ুন: ২০১৩ সালের মিশরের ভিডিও ছড়াল প্যালেস্তাইনিদের আহত হওয়ার ভান বলে