নির্ভয়ার আইনজীবী কি বিশ্বের ৬ জন সবচেয়ে প্রতিভাবান নারীর তালিকায় এলেন?
বুম দেখে সীমা সমৃদ্ধি কুশওয়াহা বিশ্বের ৬ জন সবচেয়ে প্রতিভাবান নারীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন দাবির গ্রাফিকটি ভুয়ো।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি গ্রাফিকে দাবি করা হয়েছে যে, নির্ভয়া (nirbhaya lawyer) গণধর্ষণ মামলায় নিগৃহীতার পক্ষে কেস লড়েছিলেন যে আইনজীবী, সেই সীমা সমৃদ্ধি কুশওয়াহা (Seema Samridhi Kushwaha) বিশ্বের ৬ জন সবচেয়ে প্রতিভাবান (talented women) নারীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
বুম অনুসন্ধান করে দেখতে পায় যে, এই ভাইরাল হওয়া গ্রাফিকে যে দাবি করা হয়েছে, তার কোনও বিশ্বাসযোগ্য সংবাদসূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
সীমা সমৃদ্ধি কুশওয়াহা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের এক জন আইনজীবী এবং তিনি ২০১২ সালের কুখ্যাত নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলায় নিগৃহীতার পরিবারের পক্ষে লড়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কুশওয়াহা বহুজন সমাজ পার্টিতে যোগ দেন।
ভাইরাল হওয়া গ্রাফিকটিতে নির্ভয়ার মায়ের সঙ্গে কুশওয়াহার একটি ছবি দেখা যাচ্ছে।
গ্রাফিকটির সঙ্গে হিন্দিতে লেখা যে টেক্সট দেওয়া হয়েছে, তার অনুবাদ, "সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবী সীমা সমৃদ্ধি কুশওয়াহা বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাবান ৬ জন নারীর তালিকায় এসেছেন। তাঁকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দিল্লি গণধর্ষণ মামলায় দোষীদের সাজা দিতে তাঁর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।"
(হিন্দিতে লেখা মূল লেখা: दिल्ली रेप केस निर्भया काण्ड में दोषियों को सजा दिलवाने वाली सुप्रीम कोर्ट की वरिष्ठ वकील "सीमा समृद्धि कुशवाह" विश्व की 6 वी सबसे प्रतिभावन महिला की लिस्ट में शामिल होने पर हार्दिक शुभकामनाएं)
ফেসবুকে অনেকেই ভাইরাল হওয়া গ্রাফিকটি একই দাবির সঙ্গে বিপুল ভাবে শেয়ার করেছে।
বুম দেখে যে, এই একই গ্রাফিক একই দাবির সঙ্গে ইনস্টাগ্রামেও শেয়ার করা হয়েছে।
তথ্য যাচাই
'বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাবান ৬ জন নারীর তালিকা'-র ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্য কোনও সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যাচ্ছে কি না, এবং সেই তালিকায় সত্যিই সীমা সমৃদ্ধি কুশওয়াহার নাম আছে কি না, বুম তার খোঁজ করে। কিন্তু এ রকম কিছুই আমরা খুঁজে পাইনি।
আমরা দেখতে পাই বিবিসি, টাইম ও ফোর্বস-এর মতো সংবাদসংস্থা প্রতি বছর 'বছরের ১০০ জন নারী' বা 'বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান নারীরা'— এই ধরনের তালিকা প্রকাশ করে। কিন্তু এ রকম কোনও তালিকাতেই আমরা কুশওয়াহার নাম দেখতে পাইনি।
আমরা কুশওয়াহার টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক প্রোফাইল খুঁজে দেখি, কিন্তু সেখানেও এ রকম কোনও তালিকায় তাঁর নাম থাকার ব্যপারে কোনও খবর দেখতে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কুশওয়াহার প্রতিক্রিয়া জানার জন্য আমরা হোয়াটসঅ্যাপে তাঁকে মেসেজ করেছি। তাঁর কাছ থেকে প্রত্যুত্তর পেলে তা এই প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা হবে।আরও পড়ুন: ২০১৭ সালে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের নদী পারাপারের ভিডিও ছড়াল সিলেটে বন্যা বলে