শ্রীনগরে সংস্কার হওয়া ঘন্টা ঘর বলে ভাইরাল হল নেপালের ছবি
বুম দেখে ভাইরাল ছবিটি নেপালের বীরগঞ্জের ঘন্টা ঘরের, কাশ্মীরের শ্রীনগরের নয়।
নেপালের (Nepal) একটি ঘন্টা ঘরের (Clock Tower) ছবি মিথ্যে দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, সেটি হল, জি-২০ সম্মেলনের (G20 Summit) আগে, জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Srinagar) শ্রীনগর (Srinagar) শহরের সংস্কার হওয়া (restored) ঘন্টা ঘরের ছবি।
২০ থেকে ২২ মে এই তিন দিন, শ্রীনগরে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে, মিথ্যে দাবিটি শেয়ার করা হচ্ছে।
শেয়ার করা ছবিটির সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে বলা হয়েছে, “আমাদের ঐতিহ্য ও স্থাপত্য শিল্পের অপূর্ব নিদর্শনগুলি তুলে ধরার জন্য ঘন্টা ঘরটির মেরামত ও পুনরুদ্ধারের কাজ করছে এসএমসি। জি-২০ সম্মেলনের জন্য শ্রীনগরের শ্রী ফেরাতে এই প্রয়াস।”
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখে ছবিটিতে নেপালের বীরগঞ্জের ঘন্টা ঘর দেখানো হয়েছে।
গুগুলে ফটোটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে, বিভিন্ন দিক থেকে তোলা নেপালের ঘন্টা ঘরের অনেকগুলি ছবি সামনে আসে। বীরগঞ্জে অবস্থিত ভারতের কনসুলেট জেনারেল-এর পোস্ট করা একটি ছবি দেখুন এখানে।
শ্রীনগরের লাল চৌকের ঘন্টা ঘরের ছবিটির সঙ্গে ভাইরাল ছবিটি মেলালে, বিস্তর অমিল লক্ষ করা যায়। নীচে দু’টি ছবি তুলনা করা হয়েছে।
তাছাড়া ছবিটির নীচের দিকে আমরা ‘গোবিন্দ ফটোগ্রাফি’ লেখা জলছাপ দেখতে পাই।
এই তথ্যটির সাহায্যে আমরা আসল ছবিটির সন্ধান করি। তার ফলে ‘গোবিন্দ ফটোগ্রাফি’ নামের একটি ফেসবুক পেজে আমরা ছবিটি দেখতে পাই। সেটি ১৭ মার্চ আপলোড করা হয়। এবং এই ক্যাপশন সহ শেয়ার করা হয় সেটি: “আজ বীরগঞ্জে বৃষ্টি।” ব্যবহারকারী #বীরগঞ্জনেপাল ও #বীরগঞ্জ হ্যাশট্যাগগুলি ব্যবহার করেন।
ওই ব্যবহারকারী একই জলছাপ বসানো অন্যান্য ছবিও শেয়ার করেন। সেগুলি এখানে ও এখানে।
হিন্দুস্থান টাইমস ও দ্য ট্রিবিউন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জি-২০ সম্মেলনের আগে, লাল চৌকে ঘন্টা ঘর এলাকাটি, স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায়, ৯৮০ কোটি টাকা ব্যয় করে সাজিয়ে তোলা হয়। তার মধ্যে ঘন্টা ঘরের মেরামতি ও পুনরুদ্ধারের কাজটিও ছিল। ৩ এপ্রিল, ২০২৩-এ আপলোড করা একটি ইউটিউব ভিডিওতে রাইজিং কাশ্মীর ঘন্টা ঘরটির পুনরুদ্ধারের দৃশ্য শেয়ার করে।