না, রাহুল গাঁধীকে আশীর্বাদ করতে অস্বীকার করেননি শ্রীঙ্গেরি মঠের সাধু
শ্রীঙ্গেরির সাধু রাহুল গাঁধীকে আশীর্বাদ করতে অস্বীকার করেছেন, এই দাবির স্বপক্ষে বুম কোনও তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পায়নি।
তাঁদের তথাকথিত হিন্দু-বিরোধী (Anti-Hindu) অবস্থানের কারণে, শ্রী শ্রীঙ্গেরি সারদা পীঠের (Sri Sringeri Sharada Mutt) সাধু রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi) ও কর্নাটকের (Karnataka) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সীতারামমাইয়াকে আশীর্বাদ করতে অস্বীকার করেন বলে সোশাল-মিডিয়া পোস্টে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে।
বুম ওই দাবির সমর্থনে কোনও তথ্যপ্রমাণ খুঁজে পায়নি।
কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে, ২১ মার্চ, ২০১৮, রাহুল গাঁধী ও সিতারামমাইয়া শ্রীঙ্গেরি মঠে যান ও সেখানে সারদাম্বা মন্দিরে পুজো দেন।
পোস্টগুলিতে একটি ছবি রয়েছে, যেটিতে রাহুল গাঁধীকে শ্রীঙ্গেরি মঠের সাধু ভারতী তীর্থ স্বামীর সামনে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবিটির সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে বলা হয়েছে, শ্রীঙ্গেরি পীঠের জগৎগুরু শঙ্করাচার্য রাহুল ও সীতারামমাইয়াকে (কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী) আশীর্বাদ করতে অস্বীকার করেন। জগৎগুরু বলেন, "মঠে আসার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আপনারা যা করছেন, সেই জন্য আপনাদের আশীর্বাদ করতে পারলাম না।"
এই দাবি ফেসবুক ও টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে।
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
এই দাবিটি বুমের হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন নম্বরেও আসে।
তথ্য যাচাই
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে রাহুল গাঁধী ও সীতারামমাইয়ার মঠে যাওয়ার ওপর বেশ কিছু সংবাদ প্রতিবেদন দেখতে পাই আমরা।
'ডেকান হেরাল্ড' তাদের প্রতিবেদনে বলে, "মঠের সাধু ভারতী তীর্থ স্বামীজির সঙ্গে রাহুল গাঁধী নরসিংহবনে দেখা করেন ও তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণ করেন।"
'প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া' জানায় যে, তাঁর সফরকালে রাহুল গাঁধী সাধুর আশীর্বাদ চান।
কংগ্রেসের কর্নাটক শাখা, রাহুল গাঁধীর সফরের ছবি টুইট করে এবং জানায় যে, সাধু ভারতী তীর্থ স্বামী তাঁকে আশীর্বাদ করেন।
ওই হ্যান্ডেল থেকে টুইট-করা ছবিগুলির মধ্যে একটিতে দেখা যাচ্ছে, রাহুল গাঁধীর প্রদান-করা অর্ঘ্যটিকে আশীর্বাদ করছেন স্বামীজি।
বুম একটি তারিখবিহীন খবরের কাগজের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট দেখতে পায়। তাতে রাহুল গাঁধীকে স্বামীজি উপেক্ষা করেছেন বলে যে দাবি করা হয়, মঠের প্রশাসক তা অস্বীকার করেন।
রিপোর্টটিতে মঠের প্রশাসক, ভিআর গৌরীশঙ্করের কথা উদ্ধৃত করে বলা হয়, "সাধুজির সঙ্গে নেতাদের সাক্ষাৎ খুবই সৌহার্দপূর্ণ ছিল। সেটা ছিল এক আধ্যাত্মিক বৈঠক। এখানকার প্রথা অনুযায়ী, ভক্তদের সঙ্গে কখনওই রাজনীতি আলোচনা করা হয় না। কিছু গুজব সৃষ্টিকারী খুবই নিন্দনীয় এক মিথ্যে বার্তা ছড়াচ্ছে। আমরা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার কথা ভাবছি।"
আরও পড়ুন: শাহরুখ খান কি লতা মঙ্গেশকরের দেহে থুতু ছিটিয়েছিলেন? একটি তথ্য-যাচাই