ফোমে তৈরি জাপানি শিল্পীর পায়ের মত মুলো ভাস্কর্যের ছবি ভুয়ো দাবিতে ছড়াল
বুমকে জাপানি ভাস্কর্য শিল্পী কেনজি সুয়েটসুগু বলেন, “এটি ভাস্কর্য। সহজ ভাবে বললে আমি এটা শিল্পকর্ম হিসাবে তৈরি করেছি।”
![ফোমে তৈরি জাপানি শিল্পীর পায়ের মত মুলো ভাস্কর্যের ছবি ভুয়ো দাবিতে ছড়াল ফোমে তৈরি জাপানি শিল্পীর পায়ের মত মুলো ভাস্কর্যের ছবি ভুয়ো দাবিতে ছড়াল](https://bangla.boomlive.in/h-upload/2023/03/28/1001717-radish-fake-image-sculpture-01.webp)
সোশাল মিডিয়ায় ফোমের (foam sculpture) তৈরি ভাস্কর্যের ছবি ভুয়ো দাবিতে জাপানের (Japan) জমিতে উৎপন্ন মুলো (Radish) বলে ছড়াচ্ছে।
বুমের তরফে জাপানি ভাস্কর্য শিল্পী কেনজি সুয়েটসুগুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের নিশ্চিত করেন, “এটি ভাস্কর্য। সহজ ভাবে বললে আমি এটা শিল্পকর্ম হিসাবে তৈরি করেছি।”
ফেসবুক পোস্টের ছবিতে দেখা যায় এক পা ভাঁজ করা পায়ের আদলে তৈরি দুটো মুলো।
ছবিতে ব্যাপকভাবে ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, “জাপানের একটি ক্ষেতে উৎপাদিত দুটি মুলা দ্বারা শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি হাতে দাড়িয়ে থাকা অবিকল পায়ের প্রতিকৃতি তৈরী করলেন এক দম্পতি”।
দুটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটিকে রিভার্স সার্চ করে ফেসবুকে জাপান মোমেন্টস নামে একটি পেজে ১৭ মার্চ ২০২৩ একটি পোস্ট দেখে। ওই পোস্টে কেনজি সুয়েটসুগু (Kenji Suetsugu) নামে এক শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের লিঙ্ক দেওয়া রয়েছে।
৩১ জানুয়ারি শুধুমাত্র পায়ের ছবিটি ওই অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। শিরোনাম লেখা হয়, “২০০৫ সালে মিশ্রিত মাধ্যম, ডাইকোন লেগ। শিকড়ের অংশ ছাঁচে তৈরি এবং পাতাগুলি আসল মুলোর। মুলো বাবার জমিতে তৈরি। সহযোগী হওয়াই আসল ব্যপার।”।
ডাইকোন লেগ হল আসলে জাপানি বড় ধরণের মুলো।
বুমের তরফে কেনজি সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের নিশ্চিত করেন, “এটি ভাস্কর্য। সহজ ভাবে বললে আমি এটা শিল্পকর্ম হিসাবে তৈরি করেছি।”
“চিনামাটি (ক্লে) দিয়ে তৈরি করা হয় এই মডেল। ছাঁচ তৈরি করা হয়েছিল সিলিকন দিয়ে। ইউরিথেন ফোম দিয়ে ভরা হয় ওই ছাঁচ। তারপর রঙ করে নেওয়া হয়। সঙ্গে জোড়া হয় আসল মুলোর পাতা”, কেনজি বলেন বুমকে।
১৩ জানুয়ারি আরও একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কেনজি এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর জবাবে বলেন কি কি উপকরণ দিয়ে তিনি এই ভাস্কর্য তৈরি করেন।
ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের পরিচিতি অনুযায়ী, জাপানের ফুকোয়োকাস্থিত সুরিয়াল ভাস্কর্ষ, স্পেশাল এফেক্টস মেকাপ। ওই ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেওয়া রয়েছে। আমরা ওই লিঙ্কে গিয়ে জানতে পারি, জাপানের ফুকোয়োকাস্থিত সংশ্লিষ্ট স্টুডিওতে বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে অবাস্তবিক ছবি ও ভিডিও তৈরি করতে সাহায্য করা হয় তাদের উপভোক্তাদের জন্য।