জেলের বাইরে উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডে দোষীকে মালা দিয়ে বরণের ভাইরাল ছবি AI নির্মিত
বুম দেখে ধর্ষণকাণ্ডে দন্ডপ্রাপ্ত কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারের ভাইরাল ছবি গুগল এআইয়ের চ্যাটবট জেমিনি ব্যবহার করে তৈরি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (artificial intelligence) নির্মিত ছবি ব্যবহারকারীরা আসল হিসাবে শেয়ার করে দাবি করেছেন গত ২৩ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট ২০১৭ সালের উন্নাও ধর্ষণকান্ডে (Unnao rape case) দণ্ডিত কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারের (Kuldeep Singh Sengar) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ স্থগিত করার পর তাকে জেলের বাইরে মালা (garland) পরিয়ে বরণ করা হয়েছে।
ভাইরাল ছবিটি গুগলের এআই চ্যাটবট জেমিনি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। বুম ছবিটি গুগলের এআই যাচাইকারী টুলের মাধ্যমে পরীক্ষা করলে টুলটি ছবিতে SynthID-র জলছাপ শনাক্ত করে।
দিল্লি হাইকোর্ট ২০১৭ সালের উন্নাও ধর্ষণকান্ডে দণ্ডিত প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে স্থগিত করে।
হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ (পোকসো) আইনের অধীনে সংজ্ঞায়িত "পাবলিক সার্ভেন্ট" বিভাগে বিধায়ক (এমএলএ) পরে না। অর্থাৎ, সেঙ্গার পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে পোকসো আইনে দণ্ডিত হতে পারেন না।
হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে অনলাইনে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়েছে। নির্যাতিতা, তার পরিবার এবং সমাজকর্মী ও অন্যান্য দিল্লিতে তীব্র প্রতিবাদ করছেন।
তবে, উন্নাও ধর্ষণকান্ডের নির্যাতিতার বাবার হেফাজতে মৃত্যুর মামলায় সেঙ্গারকে দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করার আবেদন এখনও দিল্লি হাইকোর্ট মঞ্জুর করেনি। অতএব, সেঙ্গার এখনও জেলেই রয়েছেন।
দাবি
এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ভাইরাল ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, "ধর্ষনের মত জঘন্য অপরাধে জড়িত আসামিকে দেশের মানুষ মালা দিয়ে বরণ করছে! উনি কূলদীপ সিং সেনগার তিনি কোন অলিম্পিকে মেডেল জিতে আসেন নাই। উনি তিহার জেল থেকে বেরিয়ে আসছেন। জেলে গিয়েছিলেন উন্নাও ধর্ষনের কেইসে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে উনি জামানতে জেল বের হওয়ার মুহুর্তে উনাকে মালা পরাচ্ছেন।
পোস্টটি দেখুন এখানে এবং আর্কাইভ দেখুন এখানে।
অনুসন্ধানে আমরা কী পেলাম
ভাইরাল ছবি এআই নির্মিত: বুম সম্পর্কিত কিওয়ার্ড অনুসন্ধান করে তবে, ভাইরাল দাবির সমর্থন করে এধরণের কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন খুঁজে পায়নি।
এরপর, আমরা ভাইরাল ছবির নীচে ডান কোণেগুগল জেমিনির লোগো লক্ষ্য করি। এখান থেকে ইঙ্গিত নিয়ে, আমরা ছবিটি গুগলের এআই যাচাইকারী টুলে পরীক্ষা করি। টুলটি নিশ্চিত করে জানায় ভাইরাল ছবিটি এআই দ্বারা তৈরি এবং এতে SynthID-র জলছাপ রয়েছে।
আরও নিশ্চিত হতে আমরা ছবিটি এআই যাচাইকারী টুল হাইভ মডারেশনেও পরীক্ষা করি। ফলাফল থেকে জানা যায় ছবিটি ৯৯.৯% কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত দিয়ে তৈরি।






