এই ভাইরাল ছবিটি হাসপাতালের বেডে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নন
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ছবিটি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের—বাংলাদেশের এক নাগরিকের অসুস্থ্য মায়ের।
সংকটজনক এক মহিলার হাসপাতালে শয্যাশায়ী (woman hospitalised) অবস্থার ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে মিথ্যে দাবি করা হচ্ছে সেটি (Bangladesh) বাংলাদেশ ন্যাশানালিস্ট পার্টি (বিএনপি) চেয়ারপার্সন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) ছবি।
১৬ নভেম্বর ২০২১ যুগান্তরে প্রকাশিতপ্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে জানান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ্য। সিসিএউ বেড থেকে হুইল চেয়ারে বসছেন তিনি। কিন্তু অত্যন্ত দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া।
এই প্রেক্ষিতেই ছবিটি সোশাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে। ভাইরাল ছবিতে দেখা যায় সংকটাপন্ন এক মহিলা হাসপালের বেডে শুয়ে রয়েছেন।
ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করছি। মহান আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সুস্থ করে দিক। আর তাদেকরে ধিক্কার জানাই, যারা আজকে বেগম খালেদা জিয়ার এই পরিণতির জন্য দায়ী।"
ছবিটি দেখা যাবে এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম রিভার্স সার্চ করে দেখে ভাইরাল ছবিটি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থার ছবি নয়।
বুম ছবিটি রিভার্স সার্চ করে বাংলাদেশের এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর অনেকগুলি ছবির সঙ্গে এই ছবিটিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পোস্ট হতে দেখে। মৌ সামারা নামে ওই ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, "আম্মু অসুস্থ সকলে ওনার জন্য দোয়া করবেন। গতকাল হাসপাতালে আম্মু কে দেখতে আসেন জনতার মেয়র ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ভাইআল্লাহ আম্মু কে দ্রুত সুস্থতা দান করুক-আমিন।"
বুম একই ছবি দেখতে পায় জালাল উদ্দিন ওয়াসিম নামে আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইলে। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ জালাল উদ্দিন ওয়াসিম ফেসবুকে লেখেন, "আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন আমার মা'কে হাসপাতালে দেখতে আসেন তরুন সমাজের প্রতিনিধি জনতার মেয়র ইশরাক হোসেন..."
বুম বাংলাদেশ জালাল উদ্দিন ওয়াসিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিশ্চিত করেন, ছবিটি তাঁর মায়ের। তিনি আরও বলেন, তাঁর মা সামসাদ বেগম গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার এক হাসপাতালে মারা যান। ভাইরাল এই ছবিটি তাঁর মৃত্যুর দিন কয়েক আগে তোলা।
আরও পড়ুন: রামায়ণের 'সুগ্রীব'-এর নামে ইন্দোনেশিয়ায় দীনপাসার হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়?