মসজিদ ভাঙার পুরনো ছবি ছড়াল উত্তরপ্রদেশের ঘটনা বলে
বুম দেখে মসজিদ ভাঙার ছবিটি গুজরাতের আমদাবাদের, উত্তরপ্রদেশের নয়।
গুজরাতের (Gujarat) আমদাবাদে (Ahmedabad) একটি মসজিদ ভাঙার (Mosque Demolition) পুরনো ছবি সোশাল মিডিয়ায় এই মিথ্যে দাবি সমেত ভাইরাল হয়েছে যে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) ঘটেছে।
ছবিটিতে এক্সকাভেটার যন্ত্রের সাহায্যে একটি মসজিদ ভাঙার হতে দেখা যাচ্ছে। বুম দেখে, ২০১৪ সালে গুজরাতের আমদাবাদে বাড়ি ভাঙ্গার এক অভিযান চলাকালে ছবিটি তোলা হয়।
ভাইরাল ছবিটির সঙ্গে হিন্দিতে লেখা ক্যাপশনে বলা হয়, "হ্যাঁ, এবার লিখুন, কী সুন্দর ছবি। উত্তরপ্রদেশ।"
পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
একই দাবি সহ ছবিটি টুইটারেও রয়েছে। কিন্তু ছবিটি কোথাকার, তার কোনও উল্লেখ নেই।
পোস্টটির আর্কাইভ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে বিজেপি বিধায়ককে গ্রামে ঢুকতে বাধা? পুরনো ভিডিওটি বিহারের
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে। দেখা যায়, ২০১৪ সালের ৭ অগস্ট আপলোড করা একটি টুইটে ছবিটি ছিল। ওই টুইটে মসজিদটি ভাঙার আরও তিনটি ছবি ছিল। ক্যাপশনে বলা হয়, "আমদাবাদের জুহাপুরায় বেআইনি ভাবে নির্মিত মসজিদ ভেঙ্গে দিচ্ছে এএমসি।"
টুইটটির আর্কাইভ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
নির্মাণ ভাঙার অভিযানের ছবিগুলিতে 'দেশগুজরাত' লেখা জলছাপ আছে। সেটি হল আমদাবাদের একটি খবরের পোর্টাল। ওই টুইটে দেশগুজরাত এ ৭ অগস্ট ২০১৪ প্রকাশিত একটি লেখাও ছিল।
সেটিকে সূত্র ধরে, আমরা ফেসবুকে কিওয়ার্ড সার্চ করি। দেখা যায়, দেশগুজরাতের পেজে, লেখাটির লিঙ্কসহ, ছবিটি ওই একই দিনে আপলোড করা হয়।
ওই লেখাটিতে বলা হয়, আমদাবাদ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন জানায় যে, বর্জ্য ফেলার জন্য চিহ্নিত একটি জায়গায় বেআইনি ভাবে গুদামঘর, আইসক্রিম কারখানা ও একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়। তাই, সরকারি জমি জবরদখল করে যে সব বেআইনি নির্মাণ হয়েছিল, সেগুলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এএমসি।
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালের ৬ অগস্ট সকালে পুলিশ বাহিনী সঙ্গে নিয়ে এএমসি'র দল বিশালা নারোল রোডে আসে। তারা একটি মসজিদ সহ আরও বেশ কয়েকটি বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দেয়। ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কোনও বিশেষ প্রতিবাদ হয়নি। ছবিটি ২০১৪ থেকে ইন্টারনেটে আছে। কিন্তু সেটি আমদাবাদে তোলা কিনা, বুম তা নিজস্ব উপায়ে জানতে পারেনি।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ স্মারকের ভিডিও ছড়িয়ে দাবি অশোক কাননে সীতার বসার পাথর