না, ভিডিওটি ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে শিশুদের সাম্প্রতিক যুদ্ধ প্রশিক্ষণের নয়
বুম দেখে ভিডিওটি ২০১৫ সালে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রকাশিত আইসিল ও তালিবান সংক্রান্ত এক তথ্যচিত্রের অংশ।

ইসলামিক টুপি পরে এক ব্যক্তির শিশুদের বন্দুক নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার এক ভিডিও সম্প্রতি বাংলাদেশে (Bangladesh) শিশুদের ভারতের (India) বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রশিক্ষণের দৃশ্য দাবিতে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বুম যাচাই করে দেখে ভিডিওটি ২০১৫ সালে প্রকাশিত সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রকাশিত আইসিল ও তালিবান সংক্রান্ত এক তথ্যচিত্রের অংশ।
ভাইরাল দাবি
১১ সেকেন্ড দৈঘ্যের ওই ভিডিও পোস্ট করে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, "দেখুন কিভাবে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবার। "সন্ত্রাসী জঙ্গি জামাত -শিবিররা ইতিমধ্যে পাকিস্তান থেকে অবৈধ অস্ত্র বাংলাদেশে এনেছে। বিশেষ কয়েকটি মাদ্রাসায় জঙ্গি ট্রেনিং শুরু করেছে। ছোট ছোট নাবালক শিশুদেরকেও তারা ট্রেনিং দিচ্ছে। ৫ -আগস্ট থানায় হামলা করে হাজার হাজার অস্ত্র লুটপাট করে সেই অস্ত্র দিয়ে গোটা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে ফেলছে। এবং বাংলাদেশকে একটি গৃহযুদ্ধের দিকে ক্রমশই ধাবিত করছে।""
পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
কী পেলাম আমরা অনুসন্ধানে: ভিডিওটি আলজাজিরার প্রকাশিত আইসিল ও তালিবান সংক্রান্ত এক তথ্যচিত্র
১. দৃশ্যটি কমপক্ষে ১০ বছরের পুরনো: আমরা প্রথমে ভিডিওটির কিছু ফ্রেমকে ভেঙে রাশিয়ান সার্চ ইঞ্জিন ইয়ানডেক্সে সার্চ করলে অনুরূপ এক ছবিসহ বেশ কিছু প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের রাশিয়ান শাখা একই ধরণের বেশভূষাসহ মুখ ঢেকে একজন ব্যক্তির পাশে এক শিশুর বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের প্রশিক্ষণ দৃশ্য বলে ২০১৮ সালে প্রকাশ করে।
ওই একই ছবি গুগলে রিভার্স সার্চ করলে ২০১৬ সালে আলজাজিরার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে শিশুদের ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট তথা আইসিলের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দৃশ্য বলে প্রকাশ করা হয়।
২. আলজাজিরার আইসিল ও তালিবান সংক্রান্ত তথ্যচিত্র: এই তথ্যকে সূত্র হিসাবে গ্রহণ করে আমরা গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে করায় ১ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে প্রকাশিত আলজাজিরার এক তথ্যচিত্র খুঁজে পাই। আলজাজিরা জানায়, সেসময় তারা আইসিলের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে অপ্রত্যাশিতভাবে যোগাযোগের সুযোগ পায় ও তালিবানদের উপর তাদের প্রভাব খতিয়ে দেখে। চলচিত্র নির্মাতা নাজিবুল্লাহ কুরেশি ও জেমি ডোরানকে তথ্যচিত্রটির কৃতিত্ব দেওয়া হয়।
আলজাজিরা ইংলিশের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলেও সেসময় তথ্যচিত্রটি আপলোড করা হয়। ওই তথ্যচিত্রের ৪৬:২৬ মিনিট থেকে ৪৬:৩৭ সেকেন্ড অংশে ভাইরাল ভিডিওতে থাকা দৃশ্য দেখতে পাওয়া যাবে।







