স্ত্রীর উপর স্বামীর নির্যাতনের ভিডিও ভুয়ো সাম্প্রদায়িক দাবিসহ ভাইরাল
বুম দেখে ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের হাপুরের। হাপুর পুলিশ বুমকে জানায় দুজনেই একই ধর্মের এবং ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক নয়।

এক ব্যক্তির তার স্ত্রীকে (wife) নির্যাতন (torture) করার একটি বিব্রতকর ভিডিও সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভুয়ো সাম্প্রদায়িক (communal) দাবিসহ ভাইরাল হয়েছে।
বুম যাচাই করে দেখে ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের হাপুরের। বুম হাপুর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা আমাদের নিশ্চিত করে এই ঘটনার সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার যোগ নেই এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়ই একই ধর্মাবলম্বী।
ভাইরাল দাবি
ভিডিওটি শেয়ার করে ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন সেখানে ইসলাম ধর্মাবলম্বী এক স্বামীকে তার হিন্দু স্ত্রীকে মারধর করতে দেখা যায়। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ক্যাপশনে লেখেন, “তারপর পরিবারের অমতে বিয়ে করার পর বর্তমান অবস্থা হিন্দু মায়েরা সচেতন করুন নিজের মেয়েদের যেন ভুল পথে না যায়, সতর্ক থাকুন । নাহলে এই রকম পরিনতি হবে।”
ভিডিওটির বিষয়বস্তু বিব্রতকর। দর্শকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হল।
পোস্টের আর্কাইভ দেখুন এখানে।
অনুসন্ধানে আমরা কী পেলাম
বুম অনুসন্ধানে দেখে নির্যাতনকারী স্বামী এবং নির্যাতিতা স্ত্রী দুজনেই এক ধর্মের।
১. হাপুর পুলিশের প্রকাশিত বক্তব্য
আমরা এক্সে কিওয়ার্ড সার্চ করে হাপুর পুলিশের একটি পোস্টে দেখি পুলিশ ভাইরাল পোস্টে করা সাম্প্রদায়িক দাবি খণ্ডন করেছে। ২৬ জুন, ২০২৫-এর পোস্ট থেকে আরও জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় এক মুসলিম দম্পতির মধ্যে বিবাদ থেকে।
২. ২০২৫ সালের জানুয়ারির ঘটনা
আমরা হাপুর নগর পুলিশ স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিনিয়র সাব-ইনস্পেকটর নরেন্দ্র সিংহের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি স্বামী-স্ত্রী দুজনেই একই ধর্মের। নরেন্দ্র সিংহ বুমকে বলেন, “এই ভিডিওটি ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের নজরে আসে। তিনি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়েরও করেন। ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি একটি এফআইআর দায়ের করার পর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং বিষয়টি এখনও আদালতে রয়েছে।”