ভুয়ো সাম্প্রদায়িক দাবিতে ছড়াল চোর সন্দেহে ব্যক্তিকে গণপ্রহারের ভিডিও
বুমকে কোতোয়ালি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস জানান, ঘটনায় প্রহৃত ও অভিযুক্তরা উভয়েই হিন্দু।

পিলারে বেঁধে রেখে একজন ব্যক্তিকে সম্প্রতি গণপিটুনি দেওয়ার এক ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে দাবি করা হয়, মুসলিম হওয়ার কারণে ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
বুমকে কোতোয়ালি থানার তরফে নিশ্চিত করা হয়, ঘটনায় প্রহৃত ব্যক্তি হলেন একজন হিন্দু। চোর সন্দেহে কিছু হিন্দু ব্যক্তি তাকে মারধর করে।
ভিডিওর সাথে করা ভাইরাল দাবি
ফেসবুকে ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়, ""প:বঙ্গে মব লিন্চিং হচ্ছে" ব্যাপারটা বুঝা আসছে,,,? এরপর তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জেতালে-সন্ত্রাসীরা এবার মুসলিমদের ঘরের ভেতর ঢুকে অত্যাচার করবে,,, মুসলিম ভাইদের একটা কথাই বলব- BJP/RSS এবংTMC( মমতা ব্যানার্জী ) এদের মধ্যে পার্থক্য নেই আর এরা আমাদের মিত্র নয়,,, অতএব এবারে নির্বাচনে একটু ভেবেচিন্তে ভোটটা দিবেন,,,"।
পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে ও তার আর্কাইভ দেখতে এখানে।
কি পাওয়া গেল অনুসন্ধানে: প্রহৃত ব্যক্তি ও ঘটনায় অভিযুক্তরা উভয়েই হিন্দু সম্প্রদায়ের
বুম পশ্চিমবঙ্গে গণপিটুনি সংক্রান্ত সম্পর্কিত কীওয়ার্ড সার্চ করে ভাইরাল ভিডিওর দৃশ্যসমেত একাধিক সংবাদ প্রতিবেদন ও ভিডিও রিপোর্ট খুঁজে পায়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, কৃষ্ণনগরের শক্তিনগরের পাঁচ মাথা মোড় এলাকায় মোবাইল চোর সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে ইলেকট্রিক পোস্টে বেঁধে মারধর করা হয়। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ প্রহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
১. বর্তমান পত্রিকার প্রতিবেদন: বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৫ জুন সকালে পাঁচ মাথা মোড়ে এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে বাড়ির মালিক ও শ্রমিকদের মোবাইল ফোন চুরির চেষ্টার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে স্থানীয়রা ধরে ফেলে মারধর করে। পরে খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ অভিযুক্তকে উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
২. কোতোয়ালি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসের বক্তব্য: বুম এরপর কোতোয়ালি পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস জানান, "দাবিটি ভুল। ঘটনায় প্রহৃত এবং অভিযুক্তরা উভয়েই হিন্দু সম্প্রদায়ের। চোর সন্দেহে প্রদীপ রায় নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। ঘটনাটির পরে মামলা দায়ের হলে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।"