SIR-এর জেরে অবৈধ অভিবাসীদের বাংলা ছাড়ার দৃশ্য বলে ছড়াল বাংলাদেশের ভিডিও
বুম দেখে ভাইরাল ভিডিওটি বাংলাদেশের মোংলার।

একটি ফেরি ঘাটে মানুষের সারি বেধে দাঁড়িয়ে থাকার ভিডিও সম্প্রতি শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা ভুয়ো দাবি করেছেন ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর, পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) অবৈধ অভিবাসীদের (illegal migrants) বাংলাদেশে (Bangladesh) পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায় ওই ভিডিওতে।
বুম যাচাই করে দেখে ভিডিওটি বাংলাদেশের মোংলার। বুম বাংলাদেশ একজন স্থানীয় সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তিনি নিশ্চিত করেন ভিডিওটি মোংলার নিত্যযাত্রীদের এবং বাংলাদেশ সীমান্ত পার করার কোনও দৃশ্য নয়।
নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা করার পর, রাজ্যবাসীর একাংশের মধ্যে নিজেদের নাগরিকত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা ও ভয়ের সৃষ্টি হয়। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআর প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে দাবি করেছে, একাধিক মানুষ এসআইআরের ভয় আত্মহত্যা করেছেন।
দাবি
ভাইরাল ভিডিওটি বসিরহাটের দাবি করে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ক্যাপশনে লেখেন, "𝐒𝐈𝐑- যদি সঠিক ভাবে হয় অর্ধেক বাংলা ফাঁকা হয়ে যাবে। এটা বসিরহাটের স্বরূনগর বর্ডার এলাকার চিত্র....."
পোস্টটি দেখুন এখানে, আর্কাইভ দেখুন এখানে।
অনুসন্ধানে আমরা কী পেলাম
১. বাংলাদেশের ভিডিও: আমরা ভিডিওটির কিফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বাংলাদেশী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের একটি প্রতিবেদনে অনুরূপ ছবি দেখতে পাই। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ছবিটি খুলনার মোংলা ঘাটের নিত্যযাত্রীদের এবং প্রায় দু লক্ষ লোকের যাতায়াতের মাধ্যম এই ঘাটটির অবস্থা বেহাল।
ভাইরাল ভিডিওর কিফ্রেমের সঙ্গে ছবিটির তুলনা করলে দুটি ছবির মধ্যে সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
২. স্থানীয় সাংবাদিকের নিশ্চিতকরণ: পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য, বুম বাংলাদেশ বাংলাদেশী সংবাদমাধ্যম বাংলাভিশন টেলিভিশন, দৈনিক কালবেলা ও ডেইলি অবজারভারের মোংলার প্রতিনিধি মো: জসিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি নিশ্চিত করেন ভিডিওটি বাংলাদেশের মোংলার এবং সেটিতে কাউকে সীমান্ত পার করতে দেখা যায় না।
জসিম উদ্দিন বলেন, "ভিডিওটি মোংলার। তবে এটি কোন বর্ডার পারাপারের নয়, পুরাতন মোংলা থেকে ইপিজেড এ যাচ্ছে নারী শ্রমিকরা। প্রতিদিন সকালে এমন দৃশ্য এখনও দেখাযায়। সকাল সাড়ে সাতটায় তারা কর্মস্থলে যায় আবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তারা ফিরে আসে।"
(অতিরিক্ত রিপোর্টিং: তৌসিফ আকবর, বুম বাংলাদেশ)






