ভুয়ো দাবিতে ছড়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবীর পোশাক পরা পুরনো ছবি
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ছবি ২০০৩ সালের ১০ জুন তোলা হয়। সে সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের জামিন পেতে আদালতে যান।
পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পুরনো আইনজীবীর (lawyer) পোশাকে থাকা ছবি ভুয়ো দাবি (false claim) সহ সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে।
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ছবি ২০০৩ সালের ১০ জুন তোলা হয়। সে সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের জামিন পেতে আদালতে যান।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইনজীবীর পোশাকে দেখা যায়।
সিবিআই ১১ অগস্ট গুরু পাচার মামলার তদন্তের উদ্দেশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।
বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার নামে একটি যাচাই না করা ফেসবুক পেজ থেকে ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়, "#CowSmugglingCase গরু পাচার মামলায়, তৃণমূলের একমাত্র আশা-ভরসা-হতাশা...তৃণমূলের হয়ে কেস লড়তে থাকা তৃণমূলের প্র ধান "আইনGB"র এক দুষ্প্রাপ্য বিরল ছবি।" ( ক্যাপশনের ভাষা অপরিবর্তিত )"
ফেসবুক পোস্টটি দেখুন এখানে।
একই দাবি সহ আরও অনেকে ছবিটি শেয়ার করেছেন। এরকম দুটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে।
আরও পড়ুন: ২০১৫ সালে ইন্দোনেশিয়ায় জাহাজডুবির ভিডিও ভুয়ো দাবিতে বাংলাদেশের বলে ছড়াল
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটি গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখে ভাইরাল ছবিটি ২০০৩ সালের। ১০ জুন ২০০৩ গেটি ইমেজেস ওয়েবাসাইটে ছবিটি নথিভুক্ত হয়। সংবাদ সংস্থা এএফপির তরফে ছবিটি তোলেন দেশকল্যাণ চৌধুরি।
ছবিটির ক্যাপশন হিসাবে লেখা হয়, "তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ জুন ২০০৩ আইনজীবীর পোশাকে কলাকাতায় একটি কোর্টের উদ্দেশ্যে। নগরের এক আদালত তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি নিয়ন্ত্রিত কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের মেয়র পরিষদের ৭ জন গ্রেফতার হওয়া কর্মীকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয়। তাদের পুর কমিশনার দেবাশীষ সোমকে ৯ মে নিগ্রহ করার জন্য ধরা হয়। "
২৩ জুলাই ২০০৩ টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুর কমিশনার দেবাশীষ সোম পরে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে ওই সাতজনের বিরুদ্ধে এফ আই আর তুলে নেন। নিউ মার্কেট থানায় সোম শারীরিক নিগ্রহ ও গালিগালাজের অভিযোগ তুলে ৯ মে (২০০৩ সালে) এফআইআর দায়ের করেছিলেন। পরের দিন মেয়র পরিষদের সসদ্যদের গ্রেফতার করা হয়।
মামলা লড়া প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়
নিউজ ১৮ বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫ অগস্ট নব মহাকরণ ভবনের একটি বহুতলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসনকে। ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখার সময় বার কাউন্সিলের সদস্য পদ প্রতিবছর নবীকরণ ও মানবাধিকার মামলা লড়ার পূর্ব অভিজ্ঞতার উল্লেখ করেন। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন , "আমিও একজন আইনজীবী।" প্রয়োজনে তিনি মামলা লড়তে পারেন বলে জানান তাঁর ভাষণে।
বিষয়টি নিয়ে আনন্দবাজারে ২৬ অগস্ট, ২০২২ প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
আরও পড়ুন: কপিল মিশ্রের মিথ্যে দাবি বেসরকরি স্কুলের ছবি রয়েছে আপের দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে