বাসে এক মহিলাকে এক ব্যক্তির শ্লীলতাহানির ভিডিওটি পাকিস্তানের
বুম দেখে ভাইরাল ভিডিওটি ২০১৯ সালের। পাকিস্তানের ইসলামাবাদ থেকে মুলতানগামী এক বাসের ভেতর ওই ঘটনা ঘটে।
দুবছর আগে বাসের মধ্যে এক মুসলিম (Muslim) মহিলার বাসের ভিতর সপাটে এক ব্যক্তিকে থাপ্পড় মারার ভিডিওটি (Video) ফেসবুকে অনেকে শেয়ার করছেন এমন ক্যাপশন দিয়ে যেন ঘটনাটি ভারতের।
বুম দেখে ভিডিওটি পাকিস্তানের, ভারতের ঘটনার নয়।
৪৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপটিতে বাসের ভিতর এক মহিলাকে এক ব্যক্তিকে চড় মারতে দেখা যাচ্ছে। হিন্দুস্তানি এবং ইংরাজি মেশানো ভাষায় তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ওই লোকটি অনেক ক্ষণ ধরেই তাঁকে পিছন দিক থেকে স্পর্শ করছে।
লোকটিকেও তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে শোনা যাচ্ছে।
বেশ কয়েকটি দক্ষিণপন্থী ভারতীয় সোশাল মিডিয়া পোস্ট ভিডিওটি শেয়ার করে ব্যঙ্গাত্মক ক্যাপশন দিয়েছে, "নিজের বিশ্বাসে অটল এই হাজি মিয়া তাঁর সামনের আসনে বসা এক মহিলার শ্লীলতা হানির চেষ্টা করছিলেন। ওই সাহসিনী তাকে মুখের মতো জবাব দিয়েছেন। বাস্তবিকই এ দেশে হিন্দুরা ক্রমশ বড়ই অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, সংখ্যালঘুরা তাই বড়ই ভয়ে-ভয়ে রয়েছেন!"
ভিডিওটিতে অনেক গালাগাল-মন্দও রয়েছে, তাই পাঠক-দর্শকরা সতর্কভাবে দেখবেন।
পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
এই পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন: হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে মার্কিন এক অধ্যাপকের বক্তব্য মিথ্যে দাবি সহ ছড়াল
তথ্য যাচাই
বুম রিভার্স সার্চ করে করে দেখে, এই ভিডিওটি ইউটিউবে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আপলোড করা হয়েছিল।
ভিডিওটির শিরোনাম ছিল, "ভাইরাল ভিডিও— মহিলা তাঁকে যৌন হেনস্থা করার দায়ে এক ব্যক্তিকে থাপ্পড় কষাচ্ছেন।" ভিডিওর সঙ্গে থাকা আরও তথ্যে জানানো হয়, ঘটনাটি পাকিস্তানের মুলতান থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার পথে বাসের ভিতরকার ঘটনা।
এই সূত্র অনুসরণ করেই আমরা ঘটনাটির বিশদ বিবরণ পাই দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এবং পাকিস্তান টুডে পত্রিকার প্রতিবেদনে।
দুটি প্রতিবেদনেই লেখা হয়, বাসটি মুলতান থেকে ইসলামাবাদ যাওয়ার পথে তার ভিতরে এই ঘটনাটি ঘটে। ফেসবুক ব্যবহারকারী ওই মহিলারই এক বন্ধু ঘটনাটির ছবি রেকর্ড করে রাখেন এবং তাঁর হয়ে সর্বপ্রথম সেটি শেয়ার করেনl পরে অবশ্য ফেসবুক পোস্টটি মুছে দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনটিতে আরও জানানো হয় যে ওই ব্যক্তিটি মহিলার পরনের দোপাট্টাও খুলে ফেলার চেষ্টা করছিল আর তখনই মহিলাটি রুখে দাঁড়ান।
বুম ২০১৯ সাল থেকে পোস্ট হওয়া বেশ কিছু ফেসবুক পোস্টে এই একই ভিডিও এবং ঘটনাটির বিশদ বিবরণ প্রকাশিত হতে দেখেছে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানি ফেসবুকে শেয়ার হওয়া সেই পোস্টগুলি দেখতে এখানে এবং এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন: পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নির খ্রিস্টধর্ম দীক্ষার দৃশ্য নয়