জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসছেন? জেনে নিন সমস্ত নিয়ম কানুন
পরীক্ষার্থীদের জানাতে হবে যে তারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত নয় এবং তাদের ব্যবহারের জন্য নতুন মাস্ক দেওয়া হবে।
যে সব ছাত্রছাত্রীরা ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জন্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসছে, তাদের ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) দ্বারা নির্ধারিত নিয়ম মেনে পরীক্ষা কেন্দ্রেই জানাতে হবে যে তাদের কোভিড-১৯'র কোনও উপসর্গ নেই।
সুপ্রিম কোর্ট মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তির জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা স্থগিত রাখার বিরুদ্ধে রায় দেয়। এই পরিস্থিতিতে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা (জেইই) হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর এবং মেডিক্যালে স্নাতকস্তরে আসনপ্রার্থীদের জন্য এনইইটি পরীক্ষা হবে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। এনটিএ'র তথ্য অনুসারে সারা দেশে ২২৪টি শহরে প্রায় ৮,৫৮,২৭৩ জন ছাত্রছাত্রী এই পরীক্ষায় বসবে। বিই/ বিটেক, বি প্ল্যান ও বি আর্ক পাঠক্রম এই পরীক্ষার অন্তর্গত।
জেইই পরীক্ষার্থীদের জন্য এনটিএ চার পাতার অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করেছে, যার মধ্যে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে সব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। অ্যাডমিট কার্ডের প্রথম পাতায় পরীক্ষার্থীদের ঘোষণা করতে হবে যে তারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত নয়। বুম এনটিএ'র ইস্যু করা একটি অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়েছে। এই অ্যাডমিট কার্ডে ছাত্রছাত্রীদের যে সব পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের সঙ্গে ব্যক্তিগত হ্যান্ড-স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
অগস্টের শেষ সপ্তাহে এনইইটি'র অ্যাডমিট কার্ডের সঙ্গে এনইইটি'র নিয়মাবলি দিয়ে দেওয়া হবে। প্রায় ১৬ লক্ষ ৮৪ হাজার প্রার্থী এনইইটি পরীক্ষার জন্য রেজিস্টার করেছে।
তার আগে যে ঘরে এবং ল্যাবে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে তার তালিকা পরীক্ষা কেন্দ্রের নোটিস বোর্ডে দিয়ে দেওয়া হবে। বেশি ভিড় এড়াতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অ্যাডমিট কার্ডে দেওয়া কিউআর কোড স্ক্যান করা হবে এবং তার পর ছাত্রছাত্রীদের নির্দিষ্ট ল্যাবে পৌঁছে দেওয়া হবে।
যে নিয়মাবলি দেওিয়া হয়েছে সেটিকে পরীক্ষার আগে, পরীক্ষা চলাকালীন এবং পরীক্ষা পরবর্তী পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুক নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন ঘিরে ভারতে রাজনৈতিক তরজা
পরীক্ষার আগের নিয়মাবলি
পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে। দু'সপ্তাহ আগে পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যদি কোনও উপসর্গ দেখা গিয়ে থাকে, তবে নিজের সম্পর্কে ঘোষণা করার জায়গায় সেই সব ক্ষেত্রে টিক দিতে হবে। পরীক্ষার্থী কোনও কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকলে তাও জানাতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্র যে শহরে, সেই শহরে আসার আগে যদি তারা অন্য কোনও শহরে গিয়ে থাকে তাও জানাতে হবে।
এমওএফএইচডব্লিউ'র কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মাবলি অনুসারে কোনও ছাত্রের শরীরে কোনও উপসর্গ দেখলে কর্তৃপক্ষ তাকে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে না দিতে পারে। পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে এক জন ইনভেজিলেটরের সামনে এই ঘোষণাপত্রে সই করতে হবে। পরীক্ষার্থী যদি কোনও লেখনী সহায়ক নিয়ে আসে, তবে তাঁকেও এই ঘোষণাপত্র পূরণ করতে হবে।
বারকোড স্ক্যান করা হয়ে গেলে এবং পরীক্ষার্থীর শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়ে গেলে পরীক্ষার্থীকে তার ল্যাব রুমে পৌঁছে দেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও অসুদপায় অবলম্বন করতে না পারে, সে জন্য তাদের নতুন মাস্ক দেওয়া হবে। তাদের নিজেদের মাস্ক খুলে ওই মাস্ক পরতে হবে।
পরীক্ষা চলাকালীন এবং তার পরের নিয়মাবলী
রাফ ওয়ার্কের জন্য আলাদা কাগজ শুরুতেই দিয়ে দেওয়া হবে। তা ছাড়া আরও কাগজ লাগলে সামাজিক বিধি মেনেই তা দেওয়া হবে।
নির্ধারিত তিন ঘণ্টা পেরোনোর পরই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে যেতে পারবে। কোনও স্টাফকে দেখানোর পর অ্যাডমিট কার্ড ও রাফ কাগজ নির্দিষ্ট বাক্সে ফেলে দিতে হবে। এই নিয়ম যথাযথ ভাবে না মানলে পরীক্ষাপত্র বাতিল হতে পারে।