২০১৭ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে সংঘর্ষের ভিডিও জিইয়ে উঠল
বুম দেখে ২০১৭ সালে পাকিস্তানের গুজরানওয়ালায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে সেলফি তোলাকে কেন্দ্র করে বচসা বাঁধে দুই গোষ্ঠীর।
সেলফি তোলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবসের দিন নাওয়াজপন্থী পাকিস্তান মুসলিম লিগের সমর্থকদের বচসার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর দাবি সহ শেয়ার করা হচ্ছে। সম্প্রতি ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ১৪ অগস্টের ঘটনা বলে দাবি করা হচ্ছে।
১ মিনিটের ওই ভিডিওটিতে পাকিস্তানের পতাকার শিকল দিয়ে সাজানো পরিবেশে পরস্পরের দিকে চেয়ার ছোঁড়া ছুঁড়ি ও পরে ধেয়ে গিয়ে হাতা হাতি করতে দেখা যায়। ওই ভিডিওর শেষভাগে রক্তাক্ত এক ব্যক্তিকে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় চেয়ারে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ''পাকিস্তানে স্বাধীনতা দিবস আজ। দেখুন কি রকম আনন্দ করছে এরা।''
এরকম দুটি ফেসবুক পোস্ট দেখা যাবে এখানে ও এখানে। পোস্ট দুটি আর্কাইভ করা আছে এখানে ও এখানে।
একই ক্যাপশন সহ ভিডিওটি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে ভাইরাল হয়েছে।
তথ্য যাচাই
বুম ফেসবুকে কিওয়ার্ড সার্চ করে দেখে ভিডিওটি ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। এরকম দুটি ফেসবুক পোস্ট দেখা যাবে এখানে ও এখানে।
বুম এই দুটি ভিডিও দেখে ও পাকিস্তানের পতাকার সূত্র ধরে 'পাকিস্তানে ২০১৭ সালে স্বাধীনতা দিবসে বচসা' এই কিওয়ার্ড উর্দুতে লিখে ডেইলি পাকিস্তানের ১৫ অগস্ট ২০১৭ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের সন্ধান পায়। যার শিরোনাম (বাংলা অনুবাদে), ''সেলফি তোলা নিয়ে সংঘর্ষ, ৫ জন আহত, স্বাধীনতা দিবস উদযাপান'' (মূল উর্দুতে শিরোনাম: وم آزادی کی تقریب، سیلفی بنانے پر تصادم ، 5افراد زخمی)
ওই প্রতিবেদনে ঘটনাটির ভিডিও সহ একটি ফেসবুক পোস্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১৬ অগস্ট ২০১৭ ডনে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী পাকিস্তানের গুজরানওয়ালার খেয়ালি ইউনিয়ান কাউন্সিলের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান হচ্ছিল খেয়ালি ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেঠ মাহমুদের বাইরের বাড়িতে। সেলফি তোলাকে কেন্দ্র করে নাওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লিগের দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ওই ঘটনার জেরে ৫ জন গুরুতর জখম হয়।
সামা টিভির প্রতিবেদনেও দেখা যাবে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি।
সম্প্রতি নওয়াজ শরীফের কন্যা মারিয়াম নাওয়াজ শরীফ উৎকোচের তদন্তকারী সংস্থার কার্যালয়ে হাজিরা দিতে এলে পাকিস্তান মুসলিম লিগের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখায় ও পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চিড় ধরে মারিয়াম নাওয়াজ শরীফের বুলেট প্রুফ গড়ির কাঁচেও।
আরও পড়ুন: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দোভালের মিশরের পতাকায় ১৫ অগস্টের শুভেচ্ছা? এটি দোভালের ফ্যান পেজ