
কর্নাটকে ভয়াবহ অগ্নিদ্বগ্ধ এক যুবতীর দেহ উত্তরপ্রদেশের ঘটনা বলে ভাইরাল
বুম যাচাই করে দেখে ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের মহীশূর জেলায়, এক অজ্ঞাতপরিচয় অগ্নিদ্বগ্ধ যুবতীর মৃতদেহ মেলে সেখানে।

কর্নাটকের মহীশূরে এক যুবতীকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে মিথ্যে দাবি সহ উত্তরপ্রদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনা বলে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরপ্রদেশের একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসার প্রেক্ষিতে ভিডিওটি শেয়ার করা হচ্ছে।
ভুয়ো দাবি সহ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ১ মিনিট। ৩ সেকেন্ডের এই অস্বস্তিকর ভিডিওটিতে একটি রাস্তার পাশে অর্ধদগ্ধ একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়, দেহটি একটি যুবতী মেয়ের। এই দেহটির চারপাশে লোকজন ভিড় করে আছে। ভাইরাল ভিডিওটি পাঠক ও দর্শকদের পক্ষে অস্বস্তিকর হতে পারে, তাই বুম ভিডিওটিকে প্রতিবেদনে ব্যবহার করেনি।
এই অপ্রীতিকর ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "এভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া যায়? এটাই নারী স্বাধীনতা? উত্তর প্রদেশে এভাবেই চলছে বেটি নিধন!"
ভাইরাল ফেসবুক পোস্টগুলি আর্কাইভ করা আছে এখানে এবং এখানে। (নিজস্ব বিবেচনায় ভিডিওটি দেখবেন)

কর্নাটকের মহীশূরের ঘটনা
বুম যাচাই করে দেখা যুবতীকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের নয়। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের মহীশূর জেলার পিরিয়াপাটনা থানাধীন কেল্লুর গ্রামে।
বুম ভিডিওটিকে কয়েকটি মূল ফ্রেমে আলাদা করে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে এবং কান্নডা ভাষায় সাকসাটিভির একটি সংবাদ প্রতিবেদন খুঁজে পায়। ওই সংবাদপ্রতিবেদনের সূত্র ধরে বুম গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করে ৯ নভেম্বর, ২০২০ প্রকাশিত টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন দেখতে পায়।
এই প্রতিবেদনের বর্ণনা অনুযায়ী এটি কর্নাটকের মহীশূর জেলার পিরিয়াপাটনার কেল্লুর গ্রামের ঘটনা।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী মৃতের বয়স ১৮-২০ বছর। পুলিশের অনুমান অন্য জায়গাতে খুন করে এই এলাকায় দেহটিকে এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রাতঃভ্রমণে বেরনো লোকজন দেহটিকে দেখতে পায়। পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, "মাথা থেকে হাঁটু পর্যন্ত দেহটিকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চেনা যাচ্ছে না।"
মহীশূরের এসপি সিবি রিশিয়ান্থ এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা জায়গাটি পরিদর্শন করে তদন্তের পর্যালোচনা করেছেন।
Updated On: 2020-11-18T14:29:50+05:30
Claim : ভিডিওর দাবি উত্তরপ্রদেশে এক যুবতীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে
Claimed By : Facebook Posts
Fact Check : False
Next Story