অশ্লীল আচরণের দায়ে এক ব্যক্তিকে প্রহারের ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ লাগানো হচ্ছে
বুম আম্বালা নগর পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা ঘটনাটির সাম্প্রদায়িক চরিত্র অস্বীকার করে।
হরিয়ানার আম্বালায় স্কুল-ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণের দায়ে এক ব্যক্তিকে একদল মহিলা বিবস্ত্র করে পেটাচ্ছে, এই দৃশ্যটিকে ভাইরাল করে দাবি করা হয়েছে, ব্যক্তিটি মুসলিম।
২ মিনিটের ওই ভিডিও ক্লিপটিতে একদল মহিলাকে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তিকে সকলের সামনে বিবস্ত্র করে পেটানোর দৃশ্য। ভিডিওতে ব্যক্তিটিকে একজন 'মোল্লা' বলে বর্ণনা করা হয়েছে। তার ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে: "আম্বালার জৈন বাজারে এক মুসলিম ৫ বছরের এক বালিকাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। স্থানীয় মহিলারা তাকে ধরে ফেলেন এবং বেধড়ক পেটান, তারপর তাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয়। এই ধরনের নোংরা চিন্তাভাবনার লোকের আরও কড়া আইনি শাস্তি হওয়া উচিত।"
বুম আম্বালা মহিলা থানার ইনস্পেক্টর সুনীতা ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান: লোকটির নাম পবন কুমার ওরফে সনু এবং ঘটনাটিতে কোনও সাম্প্রদায়িক রঙ নেই।
ভিডিওটি যেহেতু দেখতে অস্বস্তিকর, তাই বুম সেটি প্রতিবেদনের অন্তর্ভুক্ত করেনি।
আরও পড়ুন: দীপিকা পাড়ুকোনের ছপাক সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য ছড়াল স্বরাজ্য
এই সংক্রান্ত একটি টুইট আর্কাইভ করা আছে এখানে। নীচে টুইট ও ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট দেওয়া হল।তথ্য যাচাই
আমরা ভিডিওটি অনুসন্ধান করে দৈনিক ভাস্কর পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনে দেখতে পাই একই ভিডিও জোড়া হয়েছে।
বুম আম্বালা মহিলা থানার পুলিশ ইনস্পেক্টর সুনীতা ঢাকার সঙ্গেও এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনাটির কথা স্বীকার করেন, তবে এর মধ্যে যে-কোনও হিন্দু-মুসলিম রঙ নেই, সেটাও স্পষ্ট করে দেন।
সুনীতা জানান: "তিনটি মেয়ে অভিযোগ করে যে পবন কুমার তাদের উত্যক্ত করতো এবং তাদেরকে নিজের লিঙ্গ দেখাতো। এদের মধ্যে একজন ছাত্রী তো স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দেয় । এরপরই তার মা পবনকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে এবং সবার সামনে তাকে উলঙ্গ করে ঘোরায়।" তিনি আরও জানান যে এই ঘটনায় কোনও সাম্প্রদায়িক বিভাজন নেই।
এই ঘটনার পরেই পবন কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং যৌন হয়রানি থেকে শিশুদের রক্ষা করার পকসো আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।