
না, গ্রাম্য দুস্থ্যদের নিয়ে কুমন্তব্য করেননি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়
বুম যাচাই করে দেখেছে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় গ্রামের দুস্থ্য দরিদ্রদের নিয়ে এই ধরণের কোনও মন্তব্য করেননি।

হুগলির লোকসভা সাংসদ বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পুরনো ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে তাঁর ভুয়ো মন্তব্য শেয়ার করা হচ্ছে। ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হচ্ছে যে, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় করোনা মহামারির সময়ে গ্রামের অসহায় দরিদ্র লোকজনদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য করেছেন।
বুম ভাইরাল পোস্টের তথ্য যাচাই করে দেখেছে পোস্টটি ভুয়ো এই ধরণের কোনও মন্তব্য করেননি লকেট চট্টোপাধ্যায়।
ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের একটি আবক্ষ ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, ছবির উপরের অংশে গ্রাফিকে লেখা আছে, "লকডাউনের সময় গ্রামে দরিদ্র মানুষের কাছে শরীরের দুর্গন্ধ থাকে। ওদের কাছে যেতে ভয় লাগে" বললেন—বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়" আর নীচের অংশে লেখা আছে, "হত দরিদ্র বাঙালি জাতি দুর্গন্ধে পরিণত হল। এই বাঙালি জাতি বিজেপির নেত্রীকে ভোটে পাস করিয়েছিল।"
ফেসবুক পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, গ্রামের দুস্থ পরিবারের ভোটে পাস করে আজ তাদের কে বলছে শরীরের দুর্গন্ধ থাকে। এই বাঙালি জাতি বিজেপির নেত্রী কে ভোটে পাস করে উৎসব পালন করেছিলেন।"
ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টগুলি।
তথ্য যাচাই
ভাইরাল হওয়া ছবির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বুম দেখতে পায় লকেট চট্টোপাধ্যায় যে আবক্ষ ছবি ব্যাবহার করা হয়েছে সেটা ২০১৫ সাল থেকে ইন্টারনেটে আছে।
ছবিটি তুলেছেন চিত্রসাংবাদিক প্রদীপ সান্যাল। ছবিটি ব্যবহার করে দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ২০১৫ সালের ৬ জুন একটি পরিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। অর্থাৎ ছবিটা করোনাভাইরাসের অতিমারির প্রকোপের অন্তত ৪ বছর আগের।
প্রতিবেদনটি দেখা যাবে এখানে।
বুম লকেট চট্টোপাধ্যায় ফেসবুক পেজে, টুইটার হ্যাণ্ডেল ঘেটে দেখেছে, সাংসদের সাম্প্রতিক করা পোস্টে এরকম কোন মন্তব্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইন্টারনেটে কি ওয়ার্ড সার্চ করেও লকেট চট্টোপাধ্যায় এরকম মন্তব্যের কোন হদিশ পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে ওয়েব পোর্টালে বা ইউটিউবে কোন ভিভিও বুমের নজরে আসেনি।
গত মাসে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এমপি ল্যাডস তহবিল থেকে হুগলীর জেলা শাসককে ব্যবহারের জন্য ১ কোটি টাকা দিয়েছেন।
Updated On: 2020-04-13T14:10:57+05:30
Claim : করোনার আবহে দুস্থ্য অসহায়দের কুমন্তব্য করেছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়
Claimed By : Facebook Posts
Fact Check : False
Next Story