না, এটা অযোধ্যায় পাওয়া শিবলিঙ্গ নয়
বুম দেখে ভাইরাল ছবিটি প্রায় চার বছরের পুরনো এবং উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে একটি মন্দির সংস্কারের সময় ছবিটি তোলা হয়েছিল।
চার বছর আগে উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে একটি মন্দির সংস্কারের কাজ চলার সময় মাটি খুঁড়তে গিয়ে একটি শিবলিঙ্গ পাওয়ার ছবি মিথ্যে দাবি সহ সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে এই শিবলিঙ্গটি সম্প্রতি অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য মাটি সমান করতে গিয়ে পাওয়া গেছে।
রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বুমকে জানান যে, ছবিতে যে শিবলিঙ্গটি দেখা যাচ্ছে সেটি সম্প্রতি অযোধ্যায় পাওয়া যায়নি। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধানে রয়েছে ওই ট্রাস্ট।
বিভিন্ন হিন্দি ক্যাপশন সমেত ছবিটি শেয়ার করা হচ্ছে। ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে যে, শিবলিঙ্গটি রামায়ণের কালের এবং ১১ মে ২০২০ মাটি সমান করার কাজ শুরু হলে, সেটি পাওয়া যায়।
সম্প্রতি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য নির্ধারিত জায়গায় খনন কাজ চালানোর সময় পাঁচ ফুটের একটি শিবলিঙ্গ সহ কালো পাথরের সাতটি থাম, লাল বেলে পাথরের ছ'টি থাম, খোদাই-করা ফুল আর দেবদেবীর ভাঙ্গা মূর্তি পাওয়া যায় বলে খবরে প্রকাশ। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত পড়ুন এখানে। বুম ব্যাপারটি স্বাধীনভাবে যাচাই করে দেখতে পারেনি।
তবে সোশাল মিডিয়ায় যে ছবিটি শেয়ার করা হচ্ছে সেটি অযোধ্যার নয়, ফারুখাবাদের এবং সেটি সাম্প্রতিক ছবিও নয়। হিন্দিতে লেখা টুইটটি অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, "অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য খনন কাজ চালানোর সময় ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি উচ্চতার একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া যায়। আশা করা যায় যে, মন্ডল উদিত রাজ এটিকে আবার বৌদ্ধ স্তম্ভ বলে বসবেন না। প্রতিদিন খনন কাজ চলার সঙ্গে সঙ্গে বাবর ও তার বংশধরদের কুকর্মের নানান কাহিনী জানা যাচ্ছে। জয় শ্রীরাম।"
পোস্টটির আর্কাইভ করা আছে এখানে।
अयोध्या में राममंदिर की खुदाई के दौरान
— Dr. Richa Rajpoot (@DoctorRichaBjp) May 23, 2020
4'11 इंच का शिवलिंग मिला है
मण्डल उदित राज इसे भी बौद्ध स्तम्भ न बताने लग जाए
जैसे जैसे मंदिर की खुदाई हो रही है वैसे बाबर और बाबर के वंशजों के अत्याचार और पाप की कहानी निकल रही है
जय श्री राम pic.twitter.com/24xBr9HKdm
ফেসবুকেও ছবিটি ভাইরাল হয়েছে। সেটির হিন্দি ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "যে শিবলিঙ্গ ভগবান রাম পুজো করতেন, অযোধ্যায় খণন কাজ চলা কালে সেটি পাওয়া গেছে। ছবিটি দেখুন। এবং জয় শ্রীরাম, হর হর মহাদেব উচ্চারণ করতে থাকুন।