না, এটি কোভিড-১৯ টিকা নির্মাতার পারিবারিক ছবি নয়
বুম দেখে ছবিটিতে যে বাচ্চা ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে, সে দু'জন টিকা প্রস্তুতকারকদের একজন ডঃ উগুর সাহিন নন।
তুরস্কের যে পারিবারিক ছবিতে ছেলেটিকে দেখা যাচ্ছে, সেটি এই মিথ্যে দাবি সমেত ভাইরাল হয়েছে যে সেটি হল ড. উগুর সাহিনের বাল্য বয়সের ছবি। ড. উগুর সাহিন হলেন জার্মানিতে অবস্থিত বায়োএনটেক এসই কম্পানির সিইও বা প্রধান কার্যনির্বাহী অফিসার। বায়োএনটেক ফাইজারের সঙ্গে যৌথভাবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করেছে।
ব্রিটেন ফাইজার-বায়োএনটেক-এর তৈরি এমআরএনএ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন অনুমোদন করার পরিপ্রেক্ষিতে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল ছবিটির সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "এই অভিবাসী পরিবারটি সম্প্রতি জার্মানিতে এসেছে। হলুদ শার্ট-পরা ছেলেটি একদিন কোভিড ভ্যাকসিন আবিষ্কার করবে।"
দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন; আর্কাইভের জন্য এখানে।
দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন; আর্কাইভের জন্য এখানে।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ টিকা ডিএনএ'র গঠন বদলাবে? ক্রিস্টিয়ান নর্থরাপের ৫ টি ভুল দাবি
ফেসবুকে ভাইরাল
একই ক্যাপশান দিয়ে ফেসবুকে সার্চ করলে দেখা যায়, সেখানেও ছবিটি মিথ্যে দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২০১৮'তে আমেরিকায় খালিস্তানপন্থী মিছিল জুড়ল কৃষক বিক্ষোভের সঙ্গে
তথ্য যাচাই
বুম দেখে, ছবিটিতে যে ছেলেটিকে দেখা যাচ্ছে, সে জার্মানিতে অবস্থিত বায়োএনটেক এসই কম্পানির সিইও নন। ছেলেটির ভুল পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে, কয়েকটি আর্ট সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের নাম সামনে আসে। দেখা যায় হারভার্ড আর্ট মিউজিয়ামের ওয়েবসাইটে ছবিটি রয়েছে।
ওই আর্ট জার্নালে বলা হয়েছে, ছবিটি তোলেন জার্মান আলোকচিত্রি ক্যানডিডা হোফার। তিনি একটি সিরিজ তোলেন। সেটির বিষয় ছিল, 'জার্মানিতে তুর্কিরা, ১৯৭৯'। ভাইরাল ছবিটি ওই সিরিজেরই একটি।
'ডিয়াসপোরাটার্ক' হল একটি অনলাইন গোষ্ঠী যারা ইউরোপে বসবাসকারী তুর্কিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। আজকের ভাইরাল ছবিটি তারা অগাস্ট ২০২০ তে টুইট করে। তাতে বলা হয়, ছবিতে যে দম্পতিকে দেখা যাচ্ছে, তাদের এক নাতি জানায় যে তাঁরা তুরস্কের আকসারায় থেকে এসেছিলেন। ছবিতে যে ভদ্রলোককে (বাবা) দেখা যাচ্ছে তিনি ১৯৬৫ তে জার্মানি এসেছিলেন। এবং ১০ বছর পর তিনি তাঁর স্ত্রী ও চার সন্তানকে টাসেলডর্ফ-এ নিয়ে আসেন।
১৭ নভেম্বর. ২০২০তে ডিয়াসপোরাটার্ক একটি ভাইরাল-হওয়া দাবি খণ্ডন করে। তাতে বলা হয়েছিল যে, ওই হলুদ জামা-পরা ছেলেটি পরে একজন বড় মেক্যানিক হয়ে ওঠেন।
তার আগে তুরস্কের তথ্য-যাচাই সংস্থা 'তেইট' ওই দাবি নস্যাৎ করে।
তাছাড়া, ড. উগুর সাহিন হলেন, তুরস্কের ইসকেনদেরুন-এর মানুষ। আকসারায়-এর নন। ড. উগুর জার্মানিতে আসেন ১৯৬৯-এ। তখন তাঁর বয়স চার বছর। নিউ ইয়র্ক টাইমস তাদের রিপোর্টে তেমনটাই জানিয়েছে ।
আরও পড়ুন: ২০১৮'তে আমেরিকায় খালিস্তানপন্থী মিছিল জুড়ল কৃষক বিক্ষোভের সঙ্গে